সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন প্রত্যেক মা-ই। আর তাই নীলষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন তাঁরা। চড়কের ঠিক আগের দিন ধুমধাম করে মন্দিরে মন্দিরে মহাদেবের আরাধনা হয়। উপাচার হিসাবে অবশ্যই বেলপাতা, ফুল, ফল এবং মোমবাতি থাকা বাঞ্ছনীয়। তবে সঠিক নিয়ম না জানলেই বিপদ। তাতে সন্তানের ভালোর বদলে খারাপ হতে পারে বলেই মনে করেন অনেকে।

একনজরে দেখে নিন নীলষষ্ঠীর পুজোয় কী কী ব্যবহার করা উচিত নয়:
১. নীলষষ্ঠীর পুজো দেওয়ার সময় কালো পোশাক পরবেন না।
২. শিবপুজোয় বেলপাতা প্রয়োজন। তা বলে ছেঁড়া কিংবা পোকা লাগা পাতা পুজোয় ব্যবহার করবেন না।
৩. তুলসিপাতাও শিবপুজোয় ব্যবহার করবেন না।
৪. কদম, কেতকী শিবপুজোয় ব্যবহার করবেন না।
৫. ভাঙা চাল শিবপুজোয় ভুলেও অর্পণ করবেন না।
৬. শিবপুজোয় নারকেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে নারকেল জল শিবের মাথায় ঢালবেন না।
কথিত আছে, দক্ষযজ্ঞে সতীর দেহত্যাগের পর নীলধ্বজ রাজার বিল্ববনে আবির্ভূত হন। নিজের মেয়ের মতো করে তাকে লালন পালন করেন। শিবের সঙ্গে পুনরায় তাঁকে বিয়ে দেন। বাসর ঘরে তাঁর মৃত্যু হয়। তা দেখে শোকস্তব্ধ হয়ে যান রাজা ও রানি। ওইদিনটিতে নীলপুজো হয়। আরেকটি লোকমতে, এক ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণী ছিলেন। তাঁদের সন্তান অকালেই প্রাণ হারাত। মনের দুঃখে কাশীর গঙ্গাঘাটে কান্নাকাটি করছিলেন তাঁরা। সেই সময় মা ষষ্ঠী ব্রাহ্মণী রূপে দেখা দেন। তাঁর কথামতো চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে নীলষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন। তারপর থেকে তাঁদের সন্তানদের আর কোনও অঘটন ঘটেনি। সেই অনুযায়ী নীলষষ্ঠীর প্রচলন বলে মনে করেন কেউ কেউ। সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তিতে নীলপুজো করেন মহিলারা। চলতি বছর ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ ৩০ চৈত্র এবার নীলষষ্ঠীর ব্রত পালন। সাধারণত যাঁরা এই ব্রত পালন করে তাঁরা দিনভর উপোস করেন। সন্ধ্যায় শিবের মাথায় জল ঢালেন।