সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে অফিসে নয়, কাজ হয় বাড়ি থেকে। ইনফোসিস মাইসুরু ক্যাম্পাসে চিতাবাঘের আতঙ্কে কর্মীদের নিরাপত্তায় ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। মঙ্গলবার সকালে অফিস চত্বরের গাড়ি পার্কিং-এর জায়গায় একটি চিতাবাঘ দেখতে পান এক নিরাপত্তারক্ষী। সিসিটিভি ক্যামেরাতেও ধরা পড়ে বাঘ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়ায় ক্যাম্পাস চত্বরে। তড়িঘড়ি অফিস ছাড়েন বহু কর্মী। অন্যদিকে খবর পেয়ে বাঘ ধরতে ক্যাম্পাসে আসে বনকর্মীর দল।
বাঘের বিষয়টি নিশ্চিত হতেই মাইসুরু ইনফোসিসের এইচআর দপ্তর ক্যাম্পাসে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অন্যদিকে আতঙ্কে বহু কর্মী ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বন দপ্তরের ৫০ জনের একটি দল। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা রয়েছে ওই দলে। তাঁরা দূর থেকে ঘুমপাড়ানি ইঞ্জেকশন ছুড়ে চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করার পরিকল্পনা করেছেন। দলটির সঙ্গে রয়েছে খাঁচা। বাঘ খুঁজে পেতে ড্রোন ব্যবহার করছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
মাইসুরু ইনফোসিস ক্যাম্পাসে কর্মীর সংখ্যা আনুমানিক ১৫ হাজার। অধিকাংশই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ভারতে সংস্থার সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ শিবিরটিও রয়েছে এই মাইসুরুতেই। ৩৭০ একরের সেই বিরাট ক্যাম্পাসে বাঘ খুঁজতে হয়রান হচ্ছেন বনকর্মীরা।