সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখের (East Ladakh) গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকা (Gogra-Hot Springs) থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সদ্যই সম্পন্ন করেছে ভারত ও চিন (China)। কিন্তু এরপরই লাদাখের স্থানীয় কাউন্সিলর অভিযোগ করেছেন, এর ফলে রাতারাতি ‘বাফার জোনে’ পরিণত হয়েছে ভারতীয় ভূখণ্ড। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি লাদাখের এই অঞ্চলে চিনের কাছে জমি হারাল ভারত?
কোনচক স্ট্যানজিন নামের ওই কাউন্সিলর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ”আমাদের সেনা কেবল পিপি-১৫ (পেট্রোলিং পয়েন্ট অর্থাৎ টহলদারির এলাকা) থেকেই সরেনি। পিপি-১৬ থেকেও সরে গিয়েছে। এই অঞ্চলগুলি অন্তত ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে আমাদেরই ছিল। এটা একটা বড় ধাক্কা। আমাদের নিজেদের ভূখণ্ডই এখন হয়ে উঠেছে বাফার জোন।” উল্লেখ্য, এই পিপি-১৫ অংশটিই হল গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকা। একই অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যমকেও। তাঁর অভিযোগ, চিনের চাপে নিজেদের এলাকা থেকে পিছু হটেছে ভারত। স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক ঘনিয়েছে এই অভিযোগকে ঘিরে।
[আরও পড়ুন: ‘মহিলাদের অপছন্দ করেন, পুরুষ পছন্দ করেন শুভেন্দু’, বললেন অভিষেক]
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, এই এলাকায় তৈরি করা অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও অন্যান্য সামরিক পরিকাঠামো সরানো হবে। সংঘাতের (গালওয়ান লড়াই) আগের অবস্থানে ফিরে যাবে দুই দেশের সেনা।
এদিকে বৃহস্পতিবারই এসসিও (SCO) সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দু’দিনের এই বৈঠকের ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা মোদির। এরই পাশাপাশি চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন তিনি, এই সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৯-এর ১৩ নভেম্বরের পর দুই নেতার মধ্যে সরাসরি দেখা হয়নি। যদি শেষ পর্যন্ত দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাৎ হয় তাহলে লাদাখ প্রসঙ্গে কী আলোচনা হয়, সেদিকেই লক্ষ থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।