সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে ৪৫ ঘণ্টা পর অর্থাৎ শনিবার শেষদফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) একেবারে শেষ লগ্নে ভাঙতে চলেছে মোদির ধ্যান। প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পর ধ্যানস্থ নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। শনিবার সকালে গোরক্ষপুরে নিজের বুথে ভোট দানের পর এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিরোধী শিবিরকে একহাত নিয়ে যোগী জানালেন, মোদির ধ্যানের সুফল পাবে দেশ।
শনিবার গোরক্ষপুরের এক বুথে ভোট দেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Aditynath)। তাঁর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রবি কিষাণ। ভোট দিয়ে বেরিয়েই যোগী আদিত্যনাথ বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর আড়াই মাসের ব্যস্ত কর্মসূচি শেষ করার পর নিজের জন্য কিছুটা সময় নিয়েছেন। তিনি তাঁর পুরো জীবন দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আধ্যাত্মিক উপাসনা দেশের সেবায় উৎসর্গ করা হয়েছে। যারা দুর্নীতি ও অসদাচরণে জড়িত তারা এর গুরুত্ব বুঝতে পারে না। এটা বুঝতে গেলে ভারতের মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি প্রধানমন্ত্রীর এই ধ্যানের সুফল পাবে গোটা দেশ।"
১৩১ বছর আগে নরেন্দ্রনাথ দত্ত অর্থাৎ স্বামী বিবেকানন্দ যেখানে ধ্যানে বসেছিলেন, কন্যাকুমারীর সেই বিবেকানন্দ রকেই এবার ধ্যানে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে প্রায় ৪৫ ঘণ্টা সেই ঐতিহাসিক স্থানেই ধ্যানমগ্ন মোদি। এই ৪৫ ঘণ্টায় শুধু তরল খাবার খাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ডায়েটে মূলত রয়েছে ডাবের জল, আঙুর ফলের রস এবং জুসের মতো তরল খাবার। ইতিমধ্যেই কন্যাকুমারী থেকে একাধিক ছবি-ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে নরেন্দ্র মোদিকে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া বসনে। হাতে রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে তিলক। 'ওঁম' শব্দ উচ্চারণের সঙ্গে চলছে তাঁর সাধনা। হিসেব অনুযায়ী, শনিবার আনুমানিক বিকেল নাগাদ ভাঙতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর এই ধ্যান। বিজেপির তরফে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেই ছবি ও ভিডিও।
অবশ্য মোদির ধ্যান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, ধ্যান আবার কেউ ক্যামেরা নিয়ে করে নাকি? কংগ্রেস, ডিএমকের মতো দলের তরফে কমিশনেও আবেদন জানানো হয়েছিল, যাতে মোদিকে ধ্যানের অনুমতি না দেওয়া হয়। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেন, 'ভোট আর ভগবান মোদির কাছে সমান সমান।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, 'উনি ধ্যান করেন বা ভান করেন, কেউ জানে না।' এছাড়াও বিরোধী শিবিরের তরফে অভিযোগ ওঠে, 'ওটা আসলে প্ল্যান বি। ধ্যানের আড়ালেই এ এক প্রচার কৌশল মোদির।'