সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগেভাগে রাম ও রামমন্দির দেশে সবচেয়ে বড় ইস্যু। রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আড়াই সপ্তাহ আগে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন শরদ পওয়ারপন্থী এনসিপি (NCP) নেতা জিতেন্দ্র অওয়াড় (Jitendra Awhad)। তিনি বলেন, “১৪ বছর বনবাসে নিরামিষ খেয়ে থাকা যায় না কি?” অতএব, রাম ছিলেন আমিষভোজী। জঙ্গলে শিকারই ছিল ক্ষুন্নিবৃত্তি। এমন মন্তব্যে পালটা দিল বিজেপি (BJP)।
রামকে আমিষভোজী বলায় চরমে উঠেছে বিতর্ক। অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিন আমিষ এবং মদ বর্জনের ডাক দিয়েছে গেরুয়াপন্থীরা। এমনকী মহারাষ্ট্র বিজেপি দাবি করেছে, এই বিষয়ে রাজ্যে সরকারি নির্দেশিকা জারি হোক। তার বিরোধিতায় বুধবার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন জিতেন্দ্র। বলেন, ‘ক্ষত্রিয় নৃপতি’ রাম ‘আমিষভোজী’ ছিলেন। ১৪ বছরের বনবাসে শিকার করতেন। এতদিনের জঙ্গলবাসে আমিষভোজন ছাড়া উপায় ছিল না। এমনকী রামকে ‘বহুজন’ বা দলিত রাজা ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার দলীয় সভায় এনসিপি নেতা বলেন, “আমরা ইতিহাস পড়ি না এবং রাজনীতির কারণে সবকিছুই গুলিয়ে ফেলি। রাম আমাদেরই একজন ছিলেন। আমরা বহুজন, যাঁরা শিকার করে খেতেন। রাম কখনই নিরামিষাশী ছিলেন না। তিনি আমিষভোজী ছিলেন। ১৪ বছর বনবাসে নিরামিষ খেয়ে থাকা যায় না কি?” পালটা বিজেপি বিধায়ক রাম কদমের প্রশ্ন, “ভগবান রাম যে আমিষ খেতেন জিতেন্দ্র অওয়াড়ের কাছে তার কী প্রমাণ রয়েছে? তিনি কি দেখছিলেন? যখন মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে, তখন ভগবান রামের কোটি কোটি ভক্তের আবেগকে অসম্মান করেছেন তিনি।”
[আরও পড়ুন: দ্রুত ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেটর হতে চলেছেন নীতীশ! খাড়গের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা]
উল্লেখ্য, আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে অসংখ্য কর্মসূচি রেখেছে গেরুয়া শিবির। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের তত্ত্বাবধানে অযোধ্যার মন্দিরে চলছে শেষবেলার প্রস্তুতি। তার মধ্যে রামকে ‘বহুজন’, ‘ক্ষত্রিয় নৃপতি’ এবং ‘আমিষভোজী’ বলে রামভক্তদের বেজায় ক্ষেপালেন জিতেন্দ্র।