বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, মাদুরাই: ভরসা সেই কেরল। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক পদে সীতারাম ইয়েচুরির উত্তরসূরী হলেন কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ এম এ বেবি। দলের শীর্ষপদ দখলের লড়াইয়ে বেবি ছাড়াও বৃন্দা কারাট, মহম্মদ সেলিমদের নাম শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু শেষমেশ কেরল লবির উপর ভরসা রেখে তুলনামূলকভাবে কম জনপ্রিয় বেবির উপর আস্থা রাখল পার্টি।
সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণের পর থেকেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের পদটি ফাঁকা ছিল। এতদিন প্রকাশ কারাট কাজ চালাচ্ছিলেন পলিটব্যুরোর সমন্বয়ক হিসাবে। পার্টি কংগ্রেস থেকে পূর্ব ঘোষণা মতোই নতুন সাধারণ সম্পাদক বেছে নিল লালপার্টি। কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য এম এ বেবি। তবে বেবির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল তাঁর পরিচিতি। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তিনি বিশেষ পরিচিত নন। সেই সঙ্গে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বেবিকে কতখানি মেনে নেবেন তা নিয়ে পার্টির অন্দরে সংশয় রয়েছে। কারণ একটা সময় তিনি বিজয়নের বিরোধী শিবিরের লোক বলে পরিচিত ছিলেন। তবে সেভাবে বিকল্প মুখ না থাকায় বেবিকেই সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বাছার সিদ্ধান্ত নিল পার্টি।
এদিকে সূত্রের খবর, বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে রেখে দেওয়া হচ্ছে পলিটব্যুরোতে। পলিটব্যুরোতে বাংলা থেকে জায়গা পাচ্ছেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। এর বাইরে রাজস্থানের সাংসদ আমরা রাম, তামিলনাড়ুর ইউ বাসুকি, মরিয়ম ধাওলেরা পলিটব্যুরোতে ঠাঁই পেলেন। দিল্লির অরুণ কুমার, ও কৃষক নেতা বিজু কৃষ্ণ। ত্রিপুরা থেকে মানিক সরকারের বদলে পলিটব্যুরোতে এলেন দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। পলিটব্যুরোর আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রেখে দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ কারাট, মানিক সরকার ও বৃন্দা কারাটকে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারা থাকবেন, সেটা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।