সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবক দীর্ঘদিন ধরেই যুবতীকে চেনেন! দু'মাস পরে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষণে যুক্ত নন। যা হয়েছে যুবতীর সম্মতিতেই। এই দাবি তুলে এফআইআর খারিজের জন্য হাই কোর্টের আবেদন জানায় ধর্ষণে অভিযুক্তের আইনজীবী। তবে, মহিলা পরিচিত মানেই ধর্ষণের লাইসেন্স মেলে না এই পর্যবেক্ষণে অভিযুক্তের আবেদন খারিজ করল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট।

মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে বিচারপতি গুরপাল সিংহ আলুওয়ালিয়ার সিঙ্গল বেঞ্চে ধর্ষণ মামলা খারিজের আবেদন শুনানির জন্য ওঠে। আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রায় দু'মাস আগে বাড়ির পিছনে খেতে নিয়ে গিয়ে পরিচিত যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্ত আদালতে জানায়, সে নির্যাতিতাকে আগে থেকে চিনত যুবতীর সম্মতিতেই যা হওয়ার হয়েছে। সওয়াল শুনে হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, নির্যাতিতা নিজের অভিযোগেও জানিয়েছেন তিনি অভিযুক্তকে চেনেন। এদিকে, অভিযুক্ত আদালতে যে ছবি জমা দিয়েছে, তাতেও সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে তাঁরা একে অপরকে চেনেন। কিন্তু পূর্বপরিচিত হওয়া মানেই মহিলাকে ধর্ষণের 'লাইসেন্স' পাওয়া যায় না।
নির্যাতিতা অভিযোগ জানিয়েছেন, ঘটনার দিন চাষের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর পথ আটকায় অভিযুক্ত। সে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায়। নির্যাতিতা যুবককে পাত্তা না দিলে তাঁকে জোরপূর্বক পাশের খেতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনা সামনে নিয়ে আসলে তাঁকে খুনের হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। পাশাপাশি জাত তুলেও খারাপ কথা বলা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
কিন্তু প্রায় দুমাস পরে অভিযোগ কেন? এই বিষয়টিই তুলে ধরেই মামলা খারিজের আবেদন করে অভিযুক্ত। হাই কোর্ট জানায়, দেরি করে অভিযোগ করা মানা এই নয় যে অপরাধ হয়নি বা এই কারণে এফআইআর খারিজ করা যায় না। সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যবক্ষেণ তুলে ধরে বিচারপতি গুরপাল সিংয়ে আদালত বলে, কখন এফআইআর রুজু করতে হবে তা নিয়ে আইনে নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলা নেই। ফলে অভিযোগকে বেআইনি বলা যায় না। এই পর্যবেক্ষণ করে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট অভিযুক্তের আবেদ খারিজ করে দিয়েছে।