সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘনঘন ভেঙে যাচ্ছে প্রেম। আর এই সব সম্পর্ক ভাঙার কারণই ফৌজদারি আইনের অপব্যবহার বাড়াচ্ছে। এক মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাই কোর্টের। ৪২ বছরের এক ব্যক্তিকে ধর্ষণের মামলায় জামিন দেওয়ার সময় বিচারপতি কৃষান পাহাল এই নিয়ে মন্তব্য করেন।
আদালত জানিয়েছে, ''এটা ক্রমবর্ধমানভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, ব্যক্তিগত বিরোধ এবং মানসিক বিরোধকে ফৌজদারি আইনের মাধ্যমে অপরাধমূলক রং দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ব্যর্থতার পরে।'' জানা যাচ্ছে, ৪২ বছরের বিবাহিত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন ২৫ বছরের এক তরুণী। তাঁর আরও দাবি ছিল, ওই ব্যক্তি ধর্ষণের ভিডিও তুলে রেখে তার সাহায্যে ব্ল্যাকমেলও করতেন তাঁকে। সেই সঙ্গেই তাঁর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও শেষপর্যন্ত তাঁর থেকে দূরে সরে যান অভিযুক্ত।
ওই ব্যক্তিকে 'ক্যাসানোভা' বলে উল্লেখ করে নির্যাতিতার দাবি, বিভিন্ন সময়ে বহু মহিলার সঙ্গে তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনবার বিয়েও করেন। পাশাপাশি মহিলার অভিযোগ, নিজে ধনী ব্যক্তি বলে সম্পদের অপব্যবহার করে অন্যদের ফাঁসাতেন অভিযুক্ত।
এদিকে অভিযুক্তর আইনজীবীর দাবি, নির্যাতিতা আসলে ওই ব্যক্তি বিবাহিত জেনেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এবং তাঁর তিনবার বিয়ে করার বিষয়টিও 'মিথ্যে' বলে দাবি করলেন তিনি। পরে বিচারপতি বলেন, ''সামাজিক বা নীতিগত প্রশ্নে বিদ্ধ সমস্ত কর্মকাণ্ডই আইনি হস্তক্ষেপের দাবি রাখে না। এটা আইনশাস্ত্রের এক মৌলিক নীতিকেও প্রতিফলিত করে- আইন নৈতিকতার সমস্ত দিককে প্রয়োগ করে না।'' সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই সম্পর্কটি পরস্পরের অনুমতিতেই গড়ে উঠেছিল। এবং মহিলা জানতেন পুরুষটির বিয়ের কথা।
