সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের ভোটপ্রচারে গিয়ে মিথ্যা, বিভাজনমূলক, বিভেদকামী ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করল কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, মোদি এবং শাহের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
অভিযোগপত্রে কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেস এবং জোটসঙ্গীদের নিয়ে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর প্রচার করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মহারাষ্ট্রে গিয়ে বিভাজনমূলক প্রচার করছেন বলেও অভিযোগ হাত শিবিরের। কংগ্রেস বলছে, বিজেপির দুই তারকা প্রচারককেই মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে ভোটপ্রচার থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার এই মর্মে দলের তরফে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ভোটপ্রচারে গিয়ে মোদিকে বলতে শোনা যায়, “গত ১০ বছর ধরে একজন ওবিসি প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন। সেটাই কংগ্রেস সহ্য করতে পারছে না।" প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের এজেন্ডায় সাড়া দিয়ে দেশে বিভাজন আনার চেষ্টা করছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। দুর্নীতি ইস্যুতেও কংগ্রেসকে বিঁধেছেন মোদি। তাঁর দাবি ছিল, “যেখানে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়, সেই রাজ্য কংগ্রেস রাজপরিবারের এটিএম হয়ে যায়। আজকাল হিমাচল, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলি কংগ্রেসের রাজপরিবারের এটিএম হয়ে উঠেছে।" জওহরলাল নেহেরু, রাজীব গান্ধীকে জড়িয়েও একাধিক অভিযোগ করেছেন মোদি। কংগ্রেসের দাবি, এসব অভিযোগই ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। শাহের বিরুদ্ধেও একই রকম অভিযোগ করেছে হাত শিবির।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগেও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছিল হাত শিবির। নির্বাচন কমিশন শুধু প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। এবার কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা সেটাই দেখার।