সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনে একপেশে জয়ের পরও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে কার্যত উথালপাতাল পরিস্থিতি মহাজুটির অন্দরে। বিজেপি দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে মুখ্যমন্ত্রী করার ব্যাপারে একপ্রকার মনস্থির করে ফেললেও জোটসঙ্গী একনাথ শিণ্ডের শিব সেনার অনড় মনোভাবে ঘোষণা করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে খানিকটা হলেও চাপে বিজেপি। দেবেন্দ্র ফড়ণবিস অবশ্য বলছেন, জোট শরিকদের মধ্যে কোনও বিবাদ নেই। তিন বড় দল আলোচনা করেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।
সোমবারই ‘বিহার মডেলের’ প্রসঙ্গ টেনে শিন্ডে সেনার মুখপাত্র নরেশ মাশকে বলেন, ‘‘বিহারে যেমন বিজেপি আসনসংখ্যার দিকে না-তাকিয়ে নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল, তেমনই এখানেও শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত।’’ বুধবার শিণ্ডে শিবিরের আর এক বিধায়ক সঞ্জয় শিরসাত স্পষ্ট করে দিয়েছেন, "একনাথ শিণ্ডেকে সামনে রেখেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়া হয়েছিল। তাই তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। শিণ্ডে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করবেন না।" অর্থাৎ বিজেপি যদি ফড়ণবিসকে মুখ্যমন্ত্রী করে শিণ্ডে এবং অজিত পওয়ারকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেয়, তাতে যে তাঁরা রাজি হবেন না সেটা স্পষ্ট করে দিল শিব সেনা।
তবে একই সঙ্গে শিব সেনার শিণ্ডে শিবির স্পষ্ট করে দিয়েছে, মহাজুটি ছাড়ার প্রশ্নই নেই। দলের মুখপাত্র নরেশ মাশকে-ই বুধবার বলেছেন, "আমরা উদ্ধব ঠাকরের মতো নই। মুখ্যমন্ত্রী পদ না পেলেও জোট ছাড়ব না। মহাজুটির অন্য সদস্যরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।" আপাতত এই আলোচনার দিকেই তাকিয়ে বিজেপি। সূত্রের খবর শীঘ্রই দিল্লিতে তিন দলের নেতারা বৈঠকে বসবেন। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
ফড়ণবিস এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে বিবাদ প্রসঙ্গে বলছেন, "আমরা আলোচনা শুরু করছি। সবার মত নিয়েই সিদ্ধান্ত হবে।" কিন্তু সেটা কবে? নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা বেঁধে দিতে রাজি নন ফড়ণবিস। তিনি বলছেন, "আমরা কোনও সময়সীমার কথা ভাবছি না। এর আগে উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়তে দুসপ্তাহ সময় লেগেছিল। তাই তাড়াহুড়োর কিছু নেই।" সমস্যা হল মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, এই প্রশ্নে দ্রুত ঐকমত্য না-হলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলতে পারে বিরোধীরা।