shono
Advertisement

Breaking News

Maharashtra

স্কুলপাঠ্যে মনুসংহিতা! বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী

'মনুসংহিতার মাধ্যমে নারী বিদ্বেষ ও জাতিভেদ প্রথাকে বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা বিজেপির', অভিযোগ বিরোধীদের।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 10:21 AM May 28, 2024Updated: 11:01 AM May 28, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলপাঠ্যে এবার মনুসংহিতা! গেরুয়া শাসিত মহারাষ্ট্রের স্কুল সিলেবাসে মনুর 'অনধিকার' প্রবেশে বিতর্ক যখন চরম আকার নিয়েছে ঠিক সেই সময় মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেশরকার। তাঁর দাবি, 'সিলেবাস কমিটির তরফে এমন প্রস্তাব এসেছিল ঠিকই, তবে রাজ্য সরকার যে তাদের সব প্রস্তাব মানবে এমন কোনও কারণ নেই।' পাশাপাশি তাঁর দাবি, 'ওই প্রস্তাব রাজ্য সরকারের অনুমোদনের আগেই প্রকাশ্যে চলে আসে।'

Advertisement

গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের স্টেট কাউন্সিল অফ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বিভাগের তরফে স্কুলে নয়া সিলেবাসের (School Syllabus) প্রস্তাব পেশ করা হয়, যেখানে জোর দেওয়া হয় ভারতের আদি সংস্কৃতির উপর। সিলেবাসে ভগবত গীতার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার উপর জোর দিতে তৎপর হয় ওই কমিটি। ভারতীয় সংস্কৃতির উপর জোর দিতে সিলেবাসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় মনুসংহিতাও (Manusmriti)। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় বিতর্ক চরম আকার নেয়। বিরোধীদের তরফে এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতার পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় এসসি, এসটি কমিশন। কারণ, মনুসংহিতার অর্থ নারী বিদ্বেষ ও জাতিভেদ প্রথাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা। বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, যেখানে বিজেপির সরকার চলছে সেখানে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায় না।

[আরও পড়ুন: বিমানে বোমাতঙ্ক, রানওয়েতেই থমকাল বারাণসীগামী ইন্ডিগোর উড়ান]

বিতর্কের মাঝেই এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের ভূমিকা স্পষ্ট করেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী তাঁর দাবি, 'কমিটির তরফে নয়া সিলেবাসের প্রস্তাব আসার অর্থ এমনটা নয় যে সেই প্রস্তাবকেই চোখ বুঝে সম্মতি দিয়ে দেবে সরকার। সরকারের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওই প্রস্তাবের কোন অংশ বাদ দেওয়া হবে আর কোন অংশ রাখা হবে। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ওই প্রস্তাব বাইরে প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। যেটা কোনওভাবেই ঠিক নয়।' 

[আরও পড়ুন: দুর্বল মঞ্চ ভেঙে বেসামাল রাহুল! লালুকন্যার হাত ধরে পড়তে পড়তে বাঁচলেন, ভিডিও ভাইরাল]

শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক ভাষার তালিকার বাইরে রাখার। যা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবিষয়ে অবশ্য মন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আঞ্চলিক ভাষার উপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে রাজ্যের ক্ষেত্রেও আমরা আঞ্চলিক ভাষাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মহারাষ্ট্রের স্কুল সিলেবাসে মনুর 'অনধিকার' প্রবেশে বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে।
  • 'ওই প্রস্তাব রাজ্য সরকারের অনুমোদনের আগেই প্রকাশ্যে চলে আসে,' দাবি শিক্ষামন্ত্রীর।
Advertisement