সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শনিবার এক মানুষখেকোর (Man Eater Tiger) হাত থেকে রেহাই পেয়েছে বিহারের (Bihar) বাল্মীকি ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের (Tiger Reserve Forest) পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষ। বাধ্যতামূলক হত্যা করা হয়েছে ৯ জন মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠা বাঘটিকে। এবার ডোরাকাটা ‘নরখাদক’-এর খবর মিলল মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। ওই বাঘের হামলায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বন দপ্তর সূত্রে। বৃহস্পতিবার ফাঁদ পেতে দূর থেকে ঘুম পাড়ানি ইঞ্জেকশন ছুঁড়ে বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করলেন বনকর্মীরা। আপতত ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে (Recue Center) তার ঠাঁই হবে।
মহারাষ্ট্রে চন্দ্রপুর জেলার গড়চিরোলীর অভয়ারণ্যে বিচরণ ছিল স্থানীয় মানুষের কাছে সাক্ষাৎ যম হয়ে ওঠা বাঘটির। এক বনকর্তার কথায়, গত কয়েক মাসে বাঘটি মোট ১৩ জনকে হত্যা করেছে। দেখা গিয়েছে মূলত গড়চিরোলীর ওয়াড়সা জঙ্গলে বিচরণ প্রাণীটির। যাকে নিয়ে সন্ত্রস্ত জঙ্গল পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা। ওই বন আধিকারিক জানান, ওয়াড়সায় ৬ জন, ভাণ্ডারাতে ৪ জন ও ব্রমাপুরিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই বাঘের হামলায়। একটি বাঘের হামলায় একের পর এক মানুষের মৃত্যু ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয় বন দপ্তর। এরপরই তাকে খাঁচাবন্দি করার সিদ্ধান্ত হয়।
[আরও পড়ুন: ‘লাভ জেহাদ থেকে সাবধান! মুসলিমদের থেকে মেহেন্দি নয়’, হিন্দু তরুণীদের ‘সতর্কবার্তা’ হিন্দু মহাসভার]
বনকর্তাদের ভাষায় ওই বাঘটি হল CT-1। এদিন ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র্রের সদস্যরা, ব়্যাপিড রেসপন্স টিম এবং বন্যপ্রাণ দেখভালের একাধিক দল বাঘটিকে ধরার জন্য ব্যবস্থা নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাঘটিকে চিহ্নিত করে তাকে লক্ষ্য করে ঘুম পাড়ানি ইঞ্জেকশন ছোঁড়া হয়। প্রাণীটি জ্ঞান হারালে তাকে খাঁচাবন্দি করা হয়।
[আরও পড়ুন: ২০২০ দিল্লি হিংসা: দু’বছর গা ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না, ধৃত IB কর্তার ‘খুনি’]
অভয়ারণ্যের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আপাতত বাঘটিকে রাখা হচ্ছে ১৮৩ কিলোমিটার দূরে। নাগপুরের গোরেওয়াড়া ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র্রে। তারা জানান, বাঘ সাধারণত শাবকদের বাঁচাতে অথবা অসুস্থ বা বেশি বয়সে আশক্ত হয়ে পড়লেই মানুষের উপর হামলা করে। এই পূর্ণ বয়স্ক বাঘটি ঠিক কোন কারণে মানুষের উপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।