সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্পোর্টস স্টেডিয়ামের পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নামে মেডিক্যাল কলেজ। আর তারপরই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে রাষ্ট্র সমিতির কার্যকরী প্রেসিডেন্ট কেটি রামা রাওয়ের খোঁচা, ‘শিগগিরি মহাত্মা গান্ধীর মুখ ভারতীয় নোট থেকে সরিয়ে সেখানে মোদির মুখ বসানো হবে।’
কেটিআর নামেই পরিচিত ওই নেতা। তিনি টুইটারে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘আহমেদাবাদের এলজি মেডিক্যাল কলেজের নতুন নাম নরেন্দ্র মোদি মেডিক্যাল কলেজ। এর আগে সর্দার পটেল স্টেডিয়াম স্টেডিয়ামের নাম রাখা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। যদি অর্থমন্ত্রী নির্মলা জি থাকেন, আরবিআই শিগগিরি নতুন নোট ছাপার নির্দেশ দেবে যেখানে মহাত্মা গান্ধীর মুখের বদলে মোদির মুখ থাকবে।’
[আরও পড়ুন: এসএসসি দু্র্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়]
এর আগেও কেটিআরকে এই ধরনের তীর্যক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস একবার টুইটারে দাবি করেছিলেন, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে হায়দরাবাদের নাম বদলে করা হবে ভাগ্যনগর। তাঁকে খোঁচা মেরে তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনারা প্রথমে আহমেদাবাদের নাম বদলে আদানিবাদ করে দিন।’
উল্লেখ্য, গত বছর আহমেদাবাদের মোতেরায় সর্দার পটেল স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয় প্রধানমন্ত্রীর নামে। বর্তমানে ওই স্টেডিয়ামের নাম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। ওই ঘটনা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। পটেলের নাম মুছে মোদির নামে করায় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। এরপর বৃহস্পতিবারই জানা যায়, আহমেদাবাদের মণিনগরের এল জি মেডিক্যাল কলেজের নাম পালটে প্রধানমন্ত্রীর নামে করা হয়। এবার তা নিয়েও কটাক্ষ করা শুরু করল বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, আহমেদাবাদের (Ahmedabad) মণিনগর বিধানসভা মোদির রাজনৈতিক জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মণিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১১ বছর বিধায়ক ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এল জি মেডিক্যাল কলেজের উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগী ছিলেন মোদি। তাঁরই উদ্যোগে সেখানে একটি ডেন্টাল কলেজও যোগ করা হয়।