সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার নতুন সংসদ ভবনের (Parliament Building) অশোকস্তম্ভের (Ashok Stambh) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অতিকায় ব্রোঞ্জ নির্মিত স্তম্ভের সিংহগুলিকে বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় ওই স্তম্ভের নির্মাণশিল্পীরা দাবি করলেন, মূল সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে স্তম্ভটির এত বড় আকারের কারণেই। কেননা এর ফলে ছোট ছোট ডিটেইলস চোখে পড়ছে। আর তাই মনে হচ্ছে এটা সারনাথের স্তম্ভটির থেকে আলাদা। অনুপাত ও দৃষ্টিকোণের পার্থক্যের কারণে এমন বিভ্রম তৈরি হচ্ছে। তবে মূল অশোকস্তম্ভের আকারের সঙ্গে এর যে সামান্য তফাত রয়েছে তা মানছেন নির্মাণশিল্পীরা। যদিও সব মিলিয়ে মূলটির সঙ্গে এটির ৯৯ শতাংশই হুবহু মিলে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কাজটির সঙ্গে যুক্ত নির্মাণশিল্পী জানিয়েছেন, ”যে ছবিটি সামনে এসেছে সেটি আউট অফ জুম। আর তাই লোয়ার অ্যাঙ্গলে সিংহগুলির অভিব্যক্তির একটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। একজন শিল্পী হিসেবে বলতে পারি, এটা তৈরি করার আগে আমরা মিউজিয়ামে গিয়ে গবেষণা করেছি। আমরা কেবল মূলটির (সারনাথে অবস্থিত অশোক স্তম্ভ) আদলেই এটি তৈরি করেছি। কিন্তু সেটি ছিল মাত্র আড়াই ফুটের। আর সেই জন্যই, এখন সব কিছুই অনেক বড় মনে হচ্ছে। এটা বুঝতে হবে। তাছাড়া সংসদের উপরে রাখা ৬.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের অশোকস্তম্ভটিকে লোকে দূর থেকে দেখবে। অন্তত ১০০ মিটারের দূরত্ব থেকে। তখন আর কোনও তফাত মনে হবে না। চোখের মাপে দেখলে আউটলাইনটা একেবারে একই লাগবে।”
[আরও পড়ুন: ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় এক পাতার জবাব!’ PM CARES Fund নিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের]
উদ্বোধনের সময় থেকেই ব্রোঞ্জের এই অতিকায় অশোক স্তম্ভকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের দাবি, জাতীয় প্রতীকের অবমাননা করা হয়েছে। আরেক তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও পুরনো অশোকস্তম্ভের সিংহ ও নয়া জাতীয় প্রতীকের সিংহের ছবি পাশাপাশি পোস্ট করেন। তবে আলাদা করে কিছু লেখেননি। কিন্তু কিছু না লিখলেও তিনি যে দু’টি ছবি পোস্ট করে তাদের পার্থক্য়ই তুলে ধরতে চেয়েছেন তা পরিষ্কার।
যদিও বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য জানিয়েছেন, “অশোকের রাজধানী সারনাথের সিংহকেই গ্রহণ করা হয়েছে নয়া স্থাপত্যে। একটি টুডি ছবির সঙ্গে থ্রিডি স্থাপত্যের তুলনা করছেন বিরোধীরা। এই বিষয়টি বোধহয় ওঁদের মনে ছিল না।”