সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজীব গান্ধীই (Rajiv Gandhi) ভারতে তথ্য ও প্রযুক্তির বিপ্লব এনেছিলেন। তিনিই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার (Digital India) জনক। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে টুইট করলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। তাঁর কথায়, রাজীব ছিলেন ভারত মায়ের মহান সন্তান। দেশের অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগানো প্রকৃত নেতা। উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মুখ হিসেবে তুলে ধরে বিজেপি। এদিনের মন্তব্যে কার্যত সেই দাবিকেই খণ্ডন করলেন খাড়গে।
রবিবার ছিল রাজীব গান্ধীর ৭৯তম জন্মদিন। এদিন সকালে দিল্লিতে রাজীবের সমাধি বীরভূমিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজীব-পত্নী সনিয়া গান্ধী ও মেয়ে প্রিয়ঙ্কা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। অন্যদিকে লে-তে রাজীবের জন্মদিন পালন করেছেন পুত্র কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সকালেই প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন খাড়গে। সেখানেই রাজীবকে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জনক বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাস্তার হাল বেহাল, অনির্দিষ্টাকালের জন্য বন্ধ অমরনাথ যাত্রা!]
খাড়গে লেখেন, “রাজীব গান্ধী ছিলেন ভারত মায়ের মহান সন্তান। তিনি এমন একজন নেতা ছিলেন, যিনি লক্ষ লক্ষ ভারতীয়দের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছিলেন। আজ সদ্ভাবনা দিবসে তাঁর বিশাল অবদানকে স্মরণ করা প্রাসঙ্গিক। কারণ তা একুশ শতকের ভারতকে চালিত করেছিল।” এর পরেই কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, “তিনি দেশে টেলিকম এবং আইটি বিপ্লব এনেছিলেন।” কার্যত রাজীবকেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জনক হিসেবে তুলে ধরেন খাড়গে।
[আরও পড়ুন: পোষ্যকে মারধরে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা, আত্মঘাতী ব্যক্তি]
উল্লেখ্য, গেরুয়া শিবির মোদিকে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জনক হিসেবে তুলে ধরে। ২০১৫ সালে ডিজিটাল ইন্ডিয়া নামে একটি সরকারি প্রকল্পও চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে রাজীবের আমলেই টেকনোলজি মিশন তৈরি করেছিল দেশ। সেই সময়েই দেশে টেলিফানের এসটিডি (সাবস্ক্রাইবার ট্রাঙ্ক ডায়ালিং) এবং আইএসডি (ইন্টারন্যাশনাল ট্রাঙ্ক ডায়ালিং) চালু হয়। চালু হয় পাবলিক কল অফিস (পিসিও)। যদিও নিজের টুইটে বিজেপি বা মোদিকে আক্রমণ করেননি কংগ্রস সভাপতি। বরং অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজীবের অবদান তুলে ধরেন তিনি। উলটো দিকে এখনও পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি গেরুয়া শিবির।