নিরুফা খাতুন: পয়লা বৈশাখ মানেই দিনভর নানারকম প্ল্যান। এদিকে প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যা হতেই দাপট দেখাচ্ছে কালবৈশাখী। ফলে সকলেরই প্রশ্ন, নতুন বছরের প্রথম বিকেল মাটি করবে না তো ঝড়-বৃষ্টি? হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গোটা বাংলায়। পশ্চিমের জেলাগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। উত্তরবঙ্গে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে।

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ১৬ এপ্রিল নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। একটি অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে গাল্ফ অফ মান্নার পর্যন্ত বিস্তৃত। যেটি মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুর উপর দিয়ে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত আরও একটি অক্ষরেখা যেটি ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে এসেছে। এর জেরেই মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সবজেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। ঝড়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা সামান্য কমবে, আবার রোদ উঠলেই ভ্য়াপসা গরম।
বুধবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঝড়ের সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে। দার্জিলিং থেকে মালদহ সবজেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে। প্রসঙ্গত, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ওড়িশা, অসম ও মেঘালয়ে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে, বেশ কিছু অংশে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে শিলাবৃষ্টির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে খবর।