সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে নকল করে বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের সেই ভিডিও নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় করে দিচ্ছে বিজেপি (BJP)। ওই মিমিক্রি কাণ্ডকে রীতিমতো ইস্যু বানিয়ে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। তবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনাকে সেভাবে গুরুত্বই দিচ্ছেন না। তাঁর বক্তব্য, “এর মধ্যে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই নেই। এটাকে মজার ছলে নেওয়া উচিত।”
বস্তুত ওই ভিডিও কাণ্ডে নিজের দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Kalyan Banerjee) কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছেন মমতা। বরং ঘুরিয়ে তিনি এই বিতর্কের জন্য খানিকটা দায়ী করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, “আমরা সবাইকে সম্মান করি। কিন্তু এটাকে মজার ছলে নেওয়া উচিত ছিল। রাহুল গান্ধী ভিডিও না করলে হয়তো আপনারা এই ঘটনাটা জানতেও পারতেন না।” তাহলে কি কল্যাণের ওই আচরণকে সমর্থক করছেন দলনেত্রী? সে প্রশ্নের জবাবে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি মমতা।
[আরও পড়ুন: আরও দামি ডিম-মুরগির মাংস, কেক-পিকনিকের জেরে হু হু করে বাড়ছে দাম]
যাকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ইতিমধ্যেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, “উপরাষ্ট্রপতিকে অপমান করাটা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। ধনকড় তাঁর সিনিয়র। একই পেশার লোক। তাঁর প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে।” কিন্তু তাতেও বিতর্ক কমছে না।
[আরও পড়ুন: বড়দিনের শহরে রাস্তা আটকে কেকের পসরা, মাসে মোটা টাকা জরিমানা পুরসভার]
রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নিজেও এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন। তাঁর দাবি, “ওই সময় তাঁর দলের সাসপেন্ডেট সাংসদরা লোকসভার বাইরে বসেছিলেন। তাঁরা ভেঙে পড়েছিলেন। সেই বসে থাকা সাংসদদের ভিডিও তুলছিলেন তিনি। তাছাড়া ওই ভিডিও তাঁর ফোনেই আছে। বাইরে কোথাও যায়নি। অথচ ওই ভিডিও সংবাদমাধ্যম দেখাচ্ছে, সেটা নিয়ে কারও কোনও বক্তব্য নেই।” কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য,”আজ সংসদে আদানি নিয়ে কোনও আলোচনা হচ্ছে না। রাফালে নিয়ে কোনও আলোচনা হচ্ছে না। বেকারত্ব নিয়ে কোনও আলোচনা হচ্ছে না। অথচ আমরা এসব নিয়ে আলোচনা করছি।”