সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাকেত গোখলের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই আখ্যা দিয়েছেন তিনি। গুজরাট সরকারের এহেন পদক্ষেপকে ধিক্কারও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার রাজস্থানের পুষ্করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলে দেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখের। সাকেত খুব ভাল ছেলে। ওর কোনও দোষ নেই। মোরবি একটা বিরাট বড় দুর্ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টুইট করেছিল। কিন্তু কিছু ভুল লেখেনি।” এরপরই যোগ করেন, “অনেক সময়ই অনেক বিষয় নিয়ে টুইট করা হয়। অনেকেই করে। হ্যাঁ, অবশ্যই সাইবার ক্রাইমকে নজর রাখতে হবে যে কোনও টুইট যেন দেশে বিপদ না ডেকে আনে। কিংবা কারও উপর ব্যক্তিগত আক্রমণ না করা হয়। তবে এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা হয়েছে (সাকেতকে গ্রেপ্তার)। আমি ধিক্কার জানাই।”
[আরও পড়ুন: OMR শিটে শূন্য, SSC’র তালিকায় ৫৩! ‘ভূতের কাজ নয়’, কড়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
অক্টোবরের শেষদিকে গুজরাটের মোরবিতে সেতু (Morbi Bridge) ভেঙে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেতু নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ-সহ পরিকাঠামোগত দুর্বলতা, দায়িত্বে গাফিলতির মতো নানা অভিযোগ উঠেছিল মোদি রাজ্যের এই দুর্ঘটনা ঘিরে। গুজরাট ভোটের আগে যা বড় ইস্যুতে পরিণত হয়েছিল। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেও এ নিয়ে টুইট করেছিলেন। যা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। আর সোমবার গুজরাটে ভোট মিটতে সেই মামলাতেই গোখলেকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ।
এদিনই এই নিয়ে টুইটারে গর্জে উঠেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, “যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, যারা মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ভয়ডরহীনভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। বিজেপি ভয় পেয়ে আমাদের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করল গুজরাট পুলিশ।” জানা গিয়েছে, সাকেতের পাশে থাকতে এবং তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের নিয়ে আহমেদাবাদ যাচ্ছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর সঙ্গে রয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলও। এদিন সাকেতকে আদালতে তোলা হলে ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।