সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পণের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ। গ্রেপ্তার হওয়ার পরে আবার পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোও চেষ্টা করল গুণধর। শেষ পর্যন্ত গুলি করে অভিযুক্তকে আটকাল পুলিশ। তবে ধরা দিয়েও অভিযুক্তের দাবি, তার স্ত্রী নিজেই আত্মঘাতী হয়েছেন। আপাতত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম নিকি। তিনি গ্রেটার নয়ডার সিরসা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ন’বছর আগে বিপিন ভাতি নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে যুবতীর উপর অত্যাচার চালাতেন স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য দিনের পর দিন তাঁকে চাপ দেওয়া হত। শুধু মানসিক অত্যাচার নয়, নিকিকে বেধড়ক মারধরও করা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। কিন্তু সম্প্রতি সেই অত্যাচারের মাত্রা চরমে ওঠে। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার নিকিকে মারধরের পর তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারেন তাঁর স্বামী এবং শ্বাশুড়ি।
মর্মান্তিক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে নিকির শিশুপুত্র। একই পরিবারের বধূ নিকির দিদি কাঞ্চনও। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা চেয়ে অত্যাচার চলত তাঁদের দুই বোনের উপরেই। নারকীয় ঘটনার পরই গ্রেপ্তার করা হয় বিপিনকে। কিন্তু পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে সে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে বিপিনকে আটকাতে গুলি চালায় পুলিশ। তার পা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে বিপিন।
ধরা পড়েও বিপিনের দাবি, সে মোটেই স্ত্রীকে হত্যা করেনি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই থাকে। নিকি নিজেই আত্মঘাতী হয়েছে। আপাতত বিপিনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে বিপিনের বাবা-মা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধেও। তবে ঘটনার পর থেকে বিপিনের বাবা এবং ভাই পলাতক। তাদের গ্রেপ্তার করতে বিশেষ দল গঠন করেছে পুলিশ।
