ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী হামলা, ধারাবাহিক বিস্ফোরণে আহত ১১ জন জওয়ান

02:23 PM May 28, 2019 |
Advertisement

সুমিত বিশ্বাস: ভোট মিটতেই মাওবাদী নাশকতার ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডে। পুরুলিয়া লাগোয়া কুঁচাই থানার রায়সিন্ধ্রি পাহাড়ে ধারাবাহিক আইডি বিস্ফোরণে আহত নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ জওয়ান। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত জওয়ানদের উদ্ধার করে আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাঁচিতে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাদ পড়ল পাকিস্তান, মোদির শপথ গ্রহণে আমন্ত্রিত বিমস্টেক গোষ্ঠীর রাষ্ট্রপ্রধানরা]

পুরুলিয়ার বলরামপুর থেকে দূরত্ব বড়জোড় ৬০ থেকে ৬৫ কিমি। গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের সারাইকেলা-খারসোয়া জেলার রায়সিন্ধ্রি পাহাড়ে জমায়েত হয়েছিল মাওবাদী স্কোয়াডের কয়েকজন সদস্য। সোমবার রাতে রায়সিন্ধ্রি পাহাড়ে যৌথভাবে অভিযান চালান কোবরা বাহিনী, মাওবাদী দমনে বিশেষ বাহিনী ঝাড়খণ্ড জাগুয়ারের জওয়ান ও পড়শি রাজ্যের পুলিশকর্মীরা। মঙ্গলবার ভোরের দিকে অভিযান চলাকালীন পরপর বেশ কয়েকটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। বিস্ফোরণে আহত হন নিরাপত্তাবাহিনীর ১১ জন জওয়ান। আহতদের মধ্যে ৮ জন কোরবা বাহিনীর ও ২ জন ঝাড়খণ্ড জাগুয়ারের জওয়ান। আর একজন পুলিশকর্মী। আহতদের হেলিকপ্টারে চাপিয়ে রাঁচিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, শুধু বিস্ফোরণ ঘটানোই নয়, নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় মাওবাদীরা। তবে গুলি চালানোর ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

এদিকে যখন ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী নাশকতার ঘটনা ঘটে, তখন নিরাপত্তার কারণে সে রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া পুরুলিয়াতেও অভিযানে নামেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বস্তুত, মাওবাদী দমনে বছরভর এ রাজ্যে জঙ্গলমহলে মোতায়েন থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু, ভোটের কারণে জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোট মিটলেও এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী ফেরেনি জঙ্গলমহলে। তাই ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী নাশকতার পর এখন পুরুলিয়ায় কার্যত অরক্ষিত বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত। আজ, মঙ্গলবার জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। 

Advertising
Advertising

 

ছবি: অমিত সিংদেও

The post ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী হামলা, ধারাবাহিক বিস্ফোরণে আহত ১১ জন জওয়ান appeared first on Sangbad Pratidin.

Advertisement
Next