সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘তুলা আক্কাল নাহি, তু ভেরি আহেস।’ বাক্যটি মারাঠি। যার বাংলা করলে দাঁড়ায় তোমার মাথায় কিছুই নেই। তুমি উন্মাদিনী। এই কথা যদি মহারাষ্ট্রে কোনও স্বামী তাঁর স্ত্রীকে বলে থাকেন তাহলে তা অশালীন ভাষা বলে গ্রাহ্য করা যায় না। এমনই মত বম্বে হাই কোর্টের (Bombay High Court)। একটি ডিভোর্সের মামলায় এমনই জানাল বিচারপতি নীতীন সাম্বরে ও শর্মিলা দেশমুখের বেঞ্চ।
এক ব্যক্তির করা ডিভোর্সের আবেদনে সাড়া দেওয়ার সময় বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এই বাক্যবন্ধকে অশালীন বলা যায় না। কেননা এটা মারাঠি ভাষায় এক বহুল প্রচলিত বাক্যবন্ধ। উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামী তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। রাতে দেরি করে বাড়ি ফিরে চেঁচামেচিও করতেন। সেই সময় এই ধরনের কথা বলতে শোনা যেত তাঁকে। যদিও নিজের অভিযোগের সপক্ষে কোনও বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারেননি তিনি। যা থেকে আদালত মনে করছে, কথাগুলি নিগ্রহের অর্থে ব্যবহৃত হয়নি।
[আরও পড়ুন: দেশ ডুবেছে ঋণের অন্ধকারে, তবু পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে পাকিস্তান!]
২০০৭ সালে বিয়ে হয়েছিল ওই যুগলের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। স্বামীর অভিযোগ, মহিলা আগে থেকেই জানতেন শ্বশুরবাড়িতে এসে তাঁকে যৌথ পরিবারে থাকতে হবে। কিন্তু এরপরও বিয়ের পর থেকেই তিনি লাগাতার অন্যত্র উঠে যাওয়ার আর্জি জানাতে থাকেন। ক্রমে সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝামেলা শুরু হয়। তাঁর স্ত্রী শ্বশুর-শাশুড়িকে সম্মান করতেন না বলেও অভিযোগ ওই ব্যক্তির।
অন্যদিকে মহিলার অভিযোগ, বিবাহিত জীবন তাঁক কাছে দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে ধরনের দুর্ব্যবহার তিনি বিয়ের পরে পেয়েছেন তা আগে কখনও পাননি। শুনানি শেষে আদালত জানিয়েছে, মহিলার আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। স্বামীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ডিভোর্সে সম্মতি জানিয়েছে আদালত।