সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরে খলিস্তানি হামলা নিয়ে কানাডাকে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। সেদেশে যেন আইনের শাসন কায়েম হয়, সাফ এই কথা জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। উল্লেখ্য, ব্রাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে খলিস্তানিদের তাণ্ডব নিয়ে উত্তপ্ত গোটা কানাডা। ইতিমধ্যেই খলিস্তানি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
গত ৩ নভেম্বর সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে খলিস্তানি তাণ্ডবের ভিডিও। উল্লেখ্য, ওই মন্দির চত্বরেই একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল স্থানীয় ভারতীয় দূতাবাস। সেই ক্যাম্প চলাকালীন ব্যাপক তাণ্ডব শুরু করে খলিস্তানিরা। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে হলুদ পতাকাধারী খলিস্তানি জঙ্গিরা। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চালায় খলিস্তানি জঙ্গিরা। মহিলা এবং শিশু-সহ হিন্দু পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধরও করে তারা।
দীর্ঘদিন ধরেই খলিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে। রবিবারের হামলার পর তিনি বলেন, মন্দিরে এমন হামলা মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু হামলার পরে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। খলিস্তানিরা হামলা চালিয়েছে, সেকথাও মানতে চায়নি স্থানীয় পুলিশ। গোটা ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে কড়া ভাষায় নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠানে কীভাবে নিরাপত্তা ভঙ্গ হল, উঠছে সেই প্রশ্নও।
এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, "ব্রাম্পটনের মন্দিরে যেভাবে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে কানাডার সরকারকে বার্তা, দেশে আইনের শাসন কায়েম করুন। হিংসার জেরে যেসমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার দিন।" রণধীরের আশা, ব্রাম্পটনের মন্দিরে খলিস্তানি হামলার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করবে কানাডা সরকার। তবে হামলার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করার খবর মেলেনি।