সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল, এই ৩৯ দিনে ২৩৪ বার 'সঞ্জয় বর্মা' নামের এক ব্যক্তিকে ফোন করেছিলেন সোনাম রঘুবংশী। স্বামী রাজা রঘুবংশী খুনে অন্যতম অভিযুক্ত তরুণীর কল রেকর্ড ঘেঁটে এমনটাই জানতে পেরেছিল পুলিশ। প্রশ্ন হল, সঞ্জয় বর্মা কে? তাঁর সঙ্গে সোনমের সম্পর্কই বা কী? মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডে (Meghalaya Honeymoon Murder Case) তদন্তকারীরা চ্যালেঞ্জে পড়ে গিয়েছিলেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত রহস্যের সমাধান হয়েছে। কী সেই সমাধান?
পুলিশ জানতে পেরেছে সঞ্জয়ের প্রকৃত পরিচয়। এই ‘সঞ্জয়’ আর কেউ নয়, তিনি ধৃত রাজ কুশওয়াহা! প্রেমিক রাজকে আড়াল করতেই পদবি বদলে তাঁর ফোন নম্বর নিজের মোবাইলে সেভ করেছিলেন সোনম। রাজাকে হত্যায় অভিযোগে আগেই যাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা এখন জানতে পেরেছেন, রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে বিয়ের সপ্তাহখানেক আগে থেকে সঞ্জয় নামে এক যুবকের সঙ্গে ঘন ঘন ফোনে কথা হত সোনমের। এমনকী ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন তাঁরা। যদিও ওই যুবকের ফোন নম্বর এখন 'সুইচড অফ'। শুরুতে পুলিশ ভাবছিল রাজ বর্মা তৃতীয় কোনও ব্যক্তি কিনা। যদিও শেষ পর্যন্ত জানা যায়, সঞ্জয় আর কেউ নন, সোনমের প্রেমিক রাজ!
তদন্ত সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, ২০ বছর বয়সি রাজ সোনমের বাবার কারখানায় কাজ করতেন। সেখান থেকেই উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যদিও রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে সোনমের বিয়ে ঠিক করে পরিবার। বিয়ের আগে মাকে সম্পর্কের বিষয়টি সোনম জানালেও ভিন্ন জাতের রাজের সঙ্গে বিয়ে প্রস্তাব বাতিল করা হয়ে যায়। সোনমের সঙ্গে ব্যবসায়ী রাজার বিয়ে হয় গত ১১ মে। সপ্তাহখানেক পরে ইন্দোরের নবদম্পতি মধুচন্দ্রিমায় যান মেঘালয়ে। ২১ মে তাঁরা ওঠেন শিলংয়ের বালাজি গেস্ট হাউসে। পরের দিন থেকেই নিখোঁজ রাজা। ২ জুন খাদ থেকে উদ্ধার হয় তাঁর পচন ধরা দেহ। ৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয় সোনমকে। রাজার খুনে এ পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তে মোটের উপর স্পষ্ট---সোনম ও রাজ পরিকল্পনা করেই পথের কাঁটা রাজাকে হত্যা করেন।
