সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় যত গড়াচ্ছে নিজেই নিজের জালে জড়িয়ে পড়ছেন স্বামী হত্যায় অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী (Sonam Raghuvanshi)। মেঘালয়ে 'হানিমুন কিলিং' (Meghalaya Honeymoon Murder) মামলায় সোনমের গ্রেপ্তারের পর জেরার মুখে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্ত। যার জেরে দফায় দফায় বয়ান বদল করছেন সোনম। যার জেরে সন্দেহ আরও তীব্র হচ্ছে পুলিশের।
গত সোমবার সোনমকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রথম প্রশ্ন ছিল কীভাবে মেঘালয় থেকে গাজিপুর পৌঁছলেন তিনি? উত্তরে সোনম জানান, তাঁকে অপহরণ করে এখানে ফেলে রেখে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর কয়েক ঘণ্টা পর ফের নিজের বয়ান বদল করেন অভিযুক্ত। জানান, তাঁকে মাদক খাওয়ানো হয়েছিল। এরপর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে যায় অপরাধীরা। এছাড়াও পুলিশি জেরায় সোনমের বয়ানে মিলেছে একাধিক অসঙ্গতি। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি অমিতাভ যশের দাবি, সোনম আসলে যে পরিকল্পনা করেছিল তাতে বিস্তর গলদ ছিল। ও ভেবেছিল নিজেকে আক্রান্ত দেখিয়ে পার পেয়ে যাবে। নিজেকে মানসিক বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত হিসেবে দেখানোর কোনও খামতি রাখেনি। তবে নিজের বয়ানে একের পর এক অসঙ্গতির জেরে নিজের জালে জড়িয়ে পড়ছে অভিযুক্ত।
গত ২০ মে মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে ঘুরতে যান নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম। ২৩ মে চেরাপুঞ্জিতে পৌঁছনোর পর নিখোঁজ হয়ে যান দম্পতি। এই ঘটনার ১১ দিন পর জলপ্রপাতের খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। তবে খোঁজ মেলেনি সোনমের। এরইমাঝে সোমবার গাজিপুর থেকে নিজের বাড়িতে ফোন করেন সোনম। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপরই সোনমের বক্তব্যে অসঙ্গতি নজরে আসায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি সোনমের প্রেমীক রাজ কুশওয়াহা-সহ এই মামলায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেঘালয় পুলিশ গত রাতে সকল অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে এবং সেখান থেকে তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিলং।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই সোনম রঘুবংশীকে গাজিmপুর থেকে পাটনায় নিয়ে আসে পুলিশ। আজ তাঁকে বিমানে গুয়াহাটি এবং সেখান থেকে শিলংয়ে আদালতে হাজির করা হবে।
