বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, মাদুরাই: সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসে বিরাট উত্তরণ যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। পার্টি কংগ্রেস পরিচালনার জন্য যে প্রেসিডিয়াম গঠিত হয়েছে তাতে স্থান পেয়েছেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক। প্রেসিডিয়ামে মীনাক্ষীর মতো তরুণের সুযোগ পাওয়া নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বাংলার পার্টির দায়িত্ব মীনাক্ষীর হাতেই যে যাচ্ছে, এটা তারই বার্তা কি না, সে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী গঠন করা হয়। যার নেতৃত্বে থাকেন পলিটব্যুরোর সদস্য। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরাও ওই কমিটিতে থাকেন। তবে কেন্দ্রীয় কমিটি বা পলিটব্যুরোর বাইরেও কোনও সদস্যকে প্রেসিডিয়ামে জায়গা দেওয়া হয়। তবে সাধারণত এই প্রেসিডিয়ামে তাঁরাই জায়গা পান, যাঁদের দল আগামী দিনে নেতৃত্বের উপরের সারিতে তুলে আনতে চায়। মাদুরাই পার্টি কংগ্রেসের যে প্রেসিডিয়াম বা সভাপতি মণ্ডলী তৈরি করা হয়েছে তার আহ্বায়ক করা হয়েছে বিদায়ী পলিটব্যুরোর সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে। সেই কমিটিতেই জায়গা পেয়েছেন মীনাক্ষী।
সিপিএমের অন্দরে ধারণা, মীনাক্ষীকে পার্টি কংগ্রেসের প্রেসিডিয়ামে জায়গা দেওয়ার অর্থ আগামী দিনে তাঁকে নেতৃত্বে তুলে আনতে চাইছে দল। এমনিতেও এবারের পার্টি কংগ্রেসের পর মীনাক্ষীর কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকে পড়া নিয়ে জল্পনা ছিল। সেই জল্পনাই আরও পোক্ত হল। যদিও এর পরও মীনাক্ষীকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হবেই, এখনই তা বলে দেওয়া যায় না। তবে বঙ্গ সিপিএমের একটা বড় অংশ মীনাক্ষীকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করতে চান, সেটা স্পষ্ট। যদিও দলের অন্দরে এ নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে। দলের এত সিনিয়র নেতা থাকতে মীনাক্ষীকে কেন এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? বামপন্থী দলে এভাবে ব্যক্তিপুজো কেন? সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
সূত্রের দাবি, সার্বিকভাবেই সিপিএম দলে তারুণ্য বাড়াতে চাইছে। দলের রাজনৈতিক খসড়া প্রতিবেদন এবং পর্যালোচনা রিপোর্টে বলা হয়েছে, দলে এখনই তরুণদের অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি করতে না-পারলে দল ক্রমশ বৃদ্ধাশ্রমে পরিণত হবে।