সোমনাথ রায়, আহমেদাবাদ: বাংলায় চাকরিহারাদের পাশে আছে কংগ্রেস। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই। সুপ্রিম নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। বুধবার আহমেদাবাদে কংগ্রেসের অধিবেশনের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠকে আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিংভি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, "এই মামলার আমরা সবাই এক।"

এমনিতে বঙ্গ কংগ্রেস যতই তৃণমূল বিরোধিতা করুক, রাহুল গান্ধীর মতো শীর্ষস্তরের নেতারা সেভাবে রাজ্যের ইস্যুতে মাথা ঘামান না বা সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না। কিন্তু এসএসসির চাকরি বাতিল ইস্যুতে যেভাবে রাহুল গান্ধী সক্রিয় হয়েছেন, তাতে রাজনৈতিক মহলের একাংশ খানিক অবাকই হয়ে যান। রাহুল প্রথমে চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলেন, পরে এ নিয়ে হস্তক্ষেপের দাবিতেতে চিঠি লেখেন খোদ রাষ্ট্রপতিকে। বিরোধী দলনেতার এই উদ্যোগ দেখে প্রশ্ন ওঠা শুরু করে, তাহলে কি তৃণমূল নিয়ে অবস্থান বদলাতে চলেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড? এবার কি সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নামবেন রাহুলরা?
বুধবার সে সব জল্পনা উড়িয়ে দিলেন অভিষেক মনু সিংভি। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা বললেন, "এই মামলার আমরা সবাই এক। আমার সঙ্গে রাহুল গান্ধী ও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছে। যারা যোগ্য তাঁদের আলাদা করা হোক এবং তাদের চাকরিতে বহাল রাখা হোক এবং অযোগ্যদের সরানো হোক। তবে বিচারপতিরা ভেবেছেন এটা অত্যন্ত জটিল একটি বিষয় হতে পারে। তাই এক সঙ্গে গোটা প্যানেলই বাতিল করেছেন।"
অভিষেক মনু সিংভি এই মামলায় রাজ্যের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করছেন। আবার রাহুল গান্ধীরও ঘনিষ্ঠ। তিনিই সম্ভবত মমতা এবং রাহুলের সেতুবন্ধনের কাজটি করছেন। তিনি দাবি করলেন, "বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই কংগ্রেস যোগ্য চাকরিহারাদের পাশে। যা ঘটেছে তা ঘটে গেছে। এখন যেটা হতে পারে তা হল আইনি পথে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো। যদিও সেটার সীমাবদ্ধতা আছে। এটাই আমাদের বার্তা।"