সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের বোনকে যে কেউ বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে, তেমন ঘটনা বোধহয় বিশেষ দেখা যায় না। তবে তেমনই ঘটনার সাক্ষী ভোপাল (Bhopal)। বোনকে ড্রাগের নেশায় বুঁদ করে দেহব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠল খোদ নিজের দিদির বিরুদ্ধে। মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত-সহ ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নির্যাতিতা ওই নাবালিকা নিজেই তাঁর সঙ্গে ঘটা দুর্ব্যবহারে বর্ণনা দিয়েছে। সে জানায়, যখন ১৩ বছর বয়স তখন প্রথমবার মাদকাসক্ত (Drug) হয়। দিদিই তার হাতে মাদক পৌঁছে দেয়। এরপর ইন্দোরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে একটি ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ওই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বিনিময়ে ‘ধর্ষণকারী’ তার দিদির হাতে ২ হাজার টাকা দেয়। এভাবে মাদকাসক্ত করে নানা অপরিচিত যুবক কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক তৈরিতে ওই নাবালিকাকে তার দিদি বাধ্য করেছে বলেও অভিযোগ নির্যাতিতার।
[আরও পড়ুন: ‘অযথা ভয় পাবেন না, সরকার সজাগ আছে’, নয়া করোনাতঙ্কের মাঝেই বার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]
তবে এসব কথা দুই বোন ছাড়া পরিবারের কেউই জানতে না। ছোট মেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে দেখে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে চলা নেশামুক্তি কেন্দ্রে তাকে পাঠায় নির্যাতিতার মা। কীভাবে নেশা করতে শুরু করল কাউন্সেলিংয়ের সময় সেই প্রশ্নের উত্তরেই গোটা ঘটনা জানায় সে। এরপর ওই নির্যাতিতার মাকে ঘটনাটি জানানো হয়। তিনি এরপর নাবালিকার সঙ্গে কথা বলে গান্ধীনগর থানার দ্বারস্থ হন। এক মেয়ের সঙ্গে ঘটা অন্যায়ের সুবিচারের আশায় থানায় বড় মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি। ওই মহিলা এবং তাঁর নির্যাতিতা মেয়ের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নাবালিকার দিদি-সহ ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।