প্রণব সরকার, আগরতলা: বিএসএফের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ত্রিপুরার বাংলাদেশ সীমান্তে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার উত্তেজনা ছড়ায় ত্রিপুরার মাগুরুলী সীমান্তে। অভিযোগ, চোরাচালানকারীদের রুখে দিয়েছিল বিএসএফ। পালটা সীমান্তের ওপারের দুষ্কৃতীরা বাহিনীর উপর চড়াও হয়। বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বেশ কিছুক্ষণ পর দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ত্রিপুরার মাগুরুলী সীমান্তে ৪৭ নম্বর পিলারের কাছে কয়েকজন বাংলাদেশি পাচারকারী এদেশ থেকে বিড়ি পাচার করছিল। টহলরত দুই বিএসএফ জওয়ান পাচার রুখতে গেলে পাচারকারীরা তাদের সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করে। উত্তেজনা বাড়লে জওয়ানরা পাচারকারীদের পিছু ধাওয়া করেন এবং ভুলবশত সীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন। এই ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। দুই বিএসএফ জওয়ান ভারতীয় ভূখণ্ডে ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু করতেই সেখানে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিজিবি উপস্থিত হয়। দুদলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। তখনই বাংলাদেশের স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে দুই বিএসএফ জওয়ানের উপর আক্রমণ চালায়। বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকী, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়।
পরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উদ্য়ত হয়। ভারতীয় জওয়ানদের রক্ষার চেষ্টা করে। তবে তখনও সীমান্তের ওপারের দুষ্কৃতীরা ক্রমাগত বিএসএফ জওয়ানদের কটূক্তি করতে থাকে। ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে। তাঁরা দাবি করে, বিএসএফ জওয়ানরা বাংলাদেশে গুলি চালিয়েছে এবং মহিলাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। সেই সময় বিএসএফের আরও জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয় এবং উত্তেজিত পাচারকারীরা পিছু হটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।