সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাকে আর্থিকভাবে বঞ্চনার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, একুশের নির্বাচনে হারার পর বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের পরিসংখ্যানে কার্যত সেই অভিযোগই স্বীকৃতি পেল।
কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজ বাবদ কেন্দ্রের তরফে দেওয়া অর্থের পরিমাণ শূন্য। অর্থাৎ কোনও টাকাই বরাদ্দ করা হয়নি। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যসভায় সরকারের দেওয়া একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজ বাবদ বাংলাকে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৬১৮ কোটি টাকা। আর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই বরাদ্দের অঙ্কটা পুরোপুরি শূন্য। ডেরেকের দাবি, কেন্দ্র যে বাংলাকে বঞ্চনা করছে, এই পরিসংখ্যান তারই স্বীকারোক্তি।
[আরও পড়ুন: পোর্শেকাণ্ডের ছায়া এবার উত্তরপ্রদেশে, স্কুটিচালক মহিলাকে শূন্যে উড়িয়ে দিল কিশোরের গাড়ি]
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের অনেক আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পে এক পয়সাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আর্থিক বরাদ্দ সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানান অভিষেক। এমনকী ‘ওয়ান টু ওয়ান’ তর্ক যুদ্ধে বসে হিসাব দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’। সেই চ্যালেঞ্জ বিজেপি গ্রহণ করেনি। কোনও শ্বেতপত্রও প্রকাশ করা হয়নি। তবে সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পর অভিষেকের অভিযোগেই সিলমোহর পড়ল বলে দাবি ডেরেক ও ব্রায়েনের।
[আরও পড়ুন: চণ্ডীগড়ে আদালতের মধ্যে আমলাকে গুলি করে হত্যা! অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশকর্তা শ্বশুর]
কেন্দ্র অবশ্য বরাবর দাবি করে আসছে, বাংলার টাকা আটকে রয়েছে দুর্নীতির জন্য। দিন চারেক আগেই সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দাবি করেন, "বাংলায় ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বিস্তর বেনিয়ম হয়েছে। এই তহবিলের টাকা অন্য খাতে খরচ করা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে, আর সরকার অভিযুক্তদের আড়াল করেছে। প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়াও হয়েছে। এই সবই হয়েছে বাংলায়।” কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, “আমরা জনতার টাকা কাউকে খেতে দিতে পারি না।”