সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত হানার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। এবার গণবণ্টন ব্যবস্থায় রাজ্যকে বাদ দিয়ে সরাসরি রেশন ডিলারদের কাছে খাদ্যশস্য ও অন্যান্য সামগ্রী পাঠানোর কথা ভাবছে নরেন্দ্র মোদি সরকার (Modi Govt.)।
রেশন দোকান থেকে যে পরিষেবা পান দেশের সাধারণ নাগরিকরা, তার একটি অংশ এফসিআই অথবা কৃষকদের থেকে সরাসরি কিনে ডিলারদের কাছে পাঠায় রাজ্য। অন্য একটি অংশ কেন্দ্র এফসিআই-এর মাধ্যমে পাঠায় রাজ্যের কাছে। রাজ্য সেগুলি বণ্টন করে ডিলারদের কাছে। এবার সেই পণ্য সরাসরি ডিলারদের কাছে কম দামে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রের দাবি, এর ফলে কিছুটা কম খরচে পণ্য কিনতে পারবেন ক্রেতারা বলেই কেন্দ্র মনে করছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, আদতে এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্যের গুরুত্ব হ্রাস করার চেষ্টা করছে মোদি সরকার।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে কেঁপে উঠল নেপাল, ধস বিস্তীর্ণ এলাকায়, বাড়ি ভেঙে মৃত অন্তত ৬]
এই আবহেই এদিন খাদ্য, উপভোক্তা বিষয়ক ও গণবণ্টন সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্য। গোটা দেশে ‘বাংলা মডেল’ চালু করার দাবি জানানোর পাশাপাশি নিজেদের বেশ কিছু সমস্যার কথাও তুলে ধরেন তাঁরা। যার মধ্যে অন্যতম হল, অনলাইন রেশন ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে উপভোক্তা ও ডিলারদের হয়রানি।
তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল মেশিনে মাঝেমধ্যেই সার্ভার, নেটওয়ার্ক-সহ বেশকিছু কারিগরি সমস্যা হচ্ছে। কখনও আঙুলের ছাপ মিলছে না। আবার আধার নম্বরে ওটিপি পাঠানোর ক্ষেত্রেও অনেকের কাছেই পুরনো মোবাইল নম্বর না থাকায় ওটিপি আসছে না। এর ফলে হয় খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে গ্রাহকদের অথবা তাঁদের ক্ষোভের শিকার হতে হচ্ছে ডিলার ও কর্মীদের। সঙ্গে আছে ডিলারদের কমিশন ও কোভিডে প্রয়াতদের ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গ।
[আরও পড়ুন: আজ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বাবরের আতসবাজির অপেক্ষায় পাকিস্তান]
এইসব সমস্যার সমাধান চেয়েই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর নেতৃত্বে লকেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সংগঠনের সদস্যরা। সূত্রের খবর, কমিটির চেয়ারপার্সন শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন ডিলারদের সঙ্গে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।