নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রেলের টিকিটে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা পাকাপাকিভাবেই তুলে দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। দেশে করোনা (Coronavirus) কালে, ২০২০ সালের মার্চ থেকেই এই ছাড় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও প্রবীণ যাত্রীদের (Senior Citizens) ভাড়ায় ছাড় আর নতুন করে চালু করা হয়নি। পরবর্তীকালে প্রায় সমস্ত মহল থেকেই রেল যাত্রায় প্রবীণদের ছাড়ের দাবি আরও জোরদার হয়। তবে তাতে কর্ণপাত করেনি রেলমন্ত্রক (Rail Ministry)। এমনকী, চলতি বছরের মার্চ মাসে সংসদের রেল বিষয়ক স্থায়ী কমিটির তরফে ছাড়ের বিষয়টি চালু করার সুপারিশও করা হয়। সেই সময়ে সংসদে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিষয়টি বিবেচনাধীন বলে জানান। তবে ইদানিং এ নিয়ে মুখ কুলুপ এঁটেছেন তিনিও।
শুক্রবার দিল্লিতে (Delhi) বিজেপির সদর দপ্তরে কেন্দ্রের মোদি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে রেলে কী কী কাজ হয়েছে, সেই খতিয়ান তুলে ধরলেও প্রবীণদের ছাড় সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেননি। পরে আলাদা করে জিজ্ঞেস করা হলেও প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন। তাতেই ইঙ্গিত অনেকটা স্পষ্ট হচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন শচীন পাইলট, গড়বেন নয়া দল! সঙ্গী পিকে!]
রেল সূত্রের খবর, দূরপাল্লার রেলযাত্রায় প্রবীণদের ছাড় চালু করতে চায় না মোদি সরকার (Modi Govt)। তবে সরাসরি সেকথা স্বীকার করার রাস্তাতেও তারা হাঁটবে না। বরং এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে চুপ করে থাকার কৌশলই অবলম্বন করবে তারা। এদিকে, এদিন রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি জুন মাসের মধ্যেই দেশের সমস্ত রাজ্যে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ (Vande Bharat Express)চালু করা হবে। আগামী বছরের মাঝামাঝি দেশের ২০০টি বড় শহরকে ‘বন্দে ভারতে’র সঙ্গে জোড়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে যে মোদি সরকার এই কাজ সেরে ফেলে তা নিয়ে প্রচারে নামবে, তা এদিন মন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।