সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের উচ্ছেদ অভিযানের (Anti Encroachment Drive) সময় পুড়ে মৃত্যু হল মা-মেয়ের। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের (Kanpur) দেহাত এলাকার এই ঘটনায় আঙুল উঠছে পুলিশের দিকেই। মৃতাদের পরিবারের দাবি, তাঁদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, নিজেরাই গায়ে আগুন লাগান ওই দুই মহিলা। প্রসঙ্গত, সরকারি জমি থেকে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করার সময় দুই মহিলার মৃত্যু ঘটে।
ঠিক কী ঘটেছিল? সোমবার সকালে বিনা নোটিসে বুলডোজার নিয়ে ‘গ্রাম সমাজের’ জমিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন সরকারি আধিকারিকরা। এলাকার ঝুপড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই সময়েই পুড়ে মারা যান প্রমীলা দীক্ষিত ও তাঁর কন্যা নেহা। কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন প্রমীলার পুত্র শিভম। তিনিই অভিযোগ করেন, “ঘরের মধ্যে থাকা সত্বেও আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশ। কোনও মতে পালিয়ে বেঁচে গিয়েছি। জেলাশাসকের সামনে গোটা ঘটনা ঘটলেও তিনি কোনও প্রতিবাদ করেননি। আমার মাকে কেউ বাঁচাতে আসেনি।”
[আরও পড়ুন: বদলা নয়, রনজি ফাইনালে ভাগ্য বদলের খোঁজে বঙ্গ ক্রিকেটের ‘ক্ষিদ্দা’ লক্ষ্মীরতন শুক্লা]
পালটা দিয়ে এসপি মূর্তি জানান, “আমরা জানতে পেরেছি ওই দুই মহিলা নিজেদের ঘরে আটকে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দেন। তারপরেই তাঁদের মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি কোনওভাবে এই মৃত্যুর সঙ্গে পুলিশ জড়িত থাকে, তাহলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” দুই মহিলার মৃত্যুর পরেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যান কানপুরের অ্যাডিশনাল ডিজিপি অলোক সিং।
এই ঘটনার পরেই যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকারের তীব্র সমালোচনায় নামেন বিরোধীরা। সমাজবাদী পার্টির তরফে বলা হয়, “দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণির মতোই ব্রাহ্মণদের বেছে বেছে খুন করছে এই সরকার। নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানেই ব্রাহ্মণদের উপর হামলা হচ্ছে। যোগী সরকারের নিশানায় রয়েছে ব্রাহ্মণরাও।” প্রসঙ্গত, সোমবারের উচ্ছেদ অভিযানে ভেঙে ফেলা হয়েছে একটি মন্দিরও।