সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের প্রার্থনার পরে ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলার কারণে ভর্ৎসিত হল এক পড়ুয়া। পড়তে হল শাস্তির মুখেও। না, পরাধীন ভারতের কোনও ইতিহাস নয়। একেবারে এই সময়ের ঘটনা। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক স্কুলের এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, রাজ্যের গুনা জেলার খ্রাইস্ট সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে গত বুধবার শিবাংশ জৈন নামের এক পড়ুয়ার এই অভিজ্ঞতা হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, ”জাতীয় সংগীতের পর আমি স্লোগান দিই ‘ভারতমাতা কি জয়। এরপরই জাস্টিন স্যার এসে আমাকে লাইনের বাইরে দাঁড়াতে বলেন। তিনি ধমক দিয়ে বলেন, ‘এসব কী বলছ, যাও ফাদার ডাকছেন।’ পরে আমার শ্রেণি শিক্ষিকা জসমিনা খাতুন আমাকে বলেন, আমি যেন বাড়িতে এসব বলি।”
[আরও পড়ুন: কোচবিহারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা, কাঠগড়ায় TMC]
এখানেই শেষ নয়। ক্লাসে শিবাংশের এক সহপাঠী রেড হাউসের সহ অধিনায়ক ঘোষিত হওয়ার পরে শ্রেণি শিক্ষিকা নাকি বলেন, ”এক ছাত্র ক্লাসকে গর্বিত করছে। আর শিবাংশ ক্লাসের নাম ডোবাচ্ছে।” এরপর ওই পড়ুয়াকে চারটি পিরিয়ড মাটিতে বসে ক্লাস করতে বাধ্য করা হয়।
বুধবার এই ঘটনা ঘটলেও তা প্রকাশ্যে আসে বৃহস্পতিবার। আসলে শিবাংশ বাড়িতে যাওয়ার পরে নিজেকে ঘরবন্দি করে রেখেছিল। খাওয়া দাওয়াও করতে চায়নি। এরপর অভিভাবকদের প্রশ্নের উত্তরে সব কথা খুলে বলে সে। পরদিনই তার মা-বাবা তো বটেই, কয়েকটি সামাজিক সংগঠনও স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
এরপরই টনক নড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের। ফাদার থমাস দাবি করেন, শিবাংশ মোটেই দেশপ্রেম দেখাতে ওই আচরণ করেনি। সে আসলে মজা করছিল। কিন্তু মুখে একথা বললেও ইতিমধ্যেই স্কুলের তরফে একটি বিবৃতি পেশ করে বলা হয়েছে, এবার থেকে জাতীয় সংগীতের শেষে ‘ভারতমাতা কি জয়’ স্লোগান দেওয়া হবে সবাই মিলে। যদিও এমন ঘোষণার পরও পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিগগিরি এফআইআরও দায়ের করা হতে পারে।