সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে চম্পট। নীরব মোদির কীর্তিতে বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে মানুষের ভরসা উবে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে এর থেকে বড় অশুভ আর কী হতে পারে! তাই নীরবের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েই এবছর হল হোলিকা দহন।
[ ‘মুসলিমদের এক হাতে কোরান, অন্য হাতে কমপিউটর থাকা উচিত’ ]
আয়োজন ওরলিতে। হোলি কথাটাই এসেছে হোলিকা দহন থেকে। অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয় এই হোলিকা রাক্ষসীকে। পুরাণ থেকে সে প্রথা নেমে এসেছে বর্তমান সময়েও। আজও হোলির আগের রাতে পোড়ানো হয় খড়কুটো, ডালপালা। প্রার্থনা করা হয়, পুণ্য আগুনে যেন পুড়ে যায় সব অশুভ শক্তি। সেই প্রথাকেই এবার আরও প্রাসঙ্গিক করে তুললেন ওরলির বাসিন্দারা। হোলিকা দহনে তাঁরা টেনে আনলেন পিএনবি কাণ্ড। তৈরি করা হল নীরব মোদির কুশপুতুল। সেখানে পিএনবি কাণ্ডের কথা উল্লেখও করা হয়েছে। পরে সেই কুশপুতুলে অগ্নিসংযোগ করেই অশুভ বিনাশের ডাক দেওয়া হয়।
কুশপুত্তলিকাটি তৈরি করেছেন প্রতীক কালে। সংবাদসংস্থা এনআইকে তিনি জানিয়েছেন, নীরব মোদিকে দেশে ফেরানো উচিত। এবং যত টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনি ফেরার হয়েছেন তা উদ্ধার হওয়া উচিত। এটুকুই এই অনুষ্ঠানের বার্তা। এলাকার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। চিরায়ত প্রথাকে সমসময়ের আঙ্গিকে ফেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজকরা যেন প্রমাণ করে দিলেন, ঋণখেলাপি কাণ্ডে সাধারণ মানুষ কতটা তিতিবিরক্ত। ঋণখেলাপি রুখতে নয়া বিল আসছে। কিন্তু মালিয়া, নীরবরা ফিরবে কি? তার উত্তর নেই।
[ ‘বেলুনে বীর্য থাক বা না থাক, হোলি কি মহিলাদের হেনস্তার লাইসেন্স দেয়?’ ]
The post অশুভ বিনাশের ডাক, হোলিকা দহনে পুড়ল নীরব মোদির কুশপুতুল appeared first on Sangbad Pratidin.