সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর। ঘড়ির কাঁটা তখন বারোটা ছুঁইছুঁই। নিজেদের মতোই কাজ চলছিল মুম্বই পুলিশের অন্তর্গত শশীনাকা থানায়। এমন সময় সেখানে অভিযোগ জানাতে আসেন অনীশ নামে এক ব্যক্তি। নিয়মমাফিক অভিযোগ জমা নেওয়ার কাজ শুরু করেন একজন আধিকারিক। তখনই তিনি খেয়াল করেন ১২টা বেজে গিয়েছে, অর্থাৎ তারিখ বদলে গিয়েছে ১৪ অক্টোবরে। আরে! অনীশ নামে ওই ব্যক্তির দেওয়া রেকর্ড অনুযায়ী, ওইদিন তো তাঁর জন্মদিন। অতঃপর আনা হল কেক। কাটলেন অনীশ। তাঁকে কেক খাওয়ালেন পুলিশকর্মীরাই। পরে সে ছবি পোস্ট করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। না কোনও সিনেমার গল্প নয়, একেবারেই বাস্তব ঘটনা। আর এ ঘটনার কারণেই মুম্বইয়ের সাধারণ মানুষের কাছে এখন ‘হিরো’ শশীনাকা থানার পুলিশকর্মীরা।
[অমিতাভর মৃত্যুর বদলা চাই, গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ফুঁসছে পুলিশ]
কথায় আছে, ‘বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ’। আর তাই এখনও অনেকেই আছেন যাঁরা পুলিশকে এড়িয়ে চলাটাই পছন্দ করেন। পুলিশের প্রতি ভালবাসা নয়, কাজ করে ভয়। আর একারণেই অনেকের কাছেই পুলিশ মানেই বিরাট কোনও ব্যাপার। কিন্তু সম্প্রতি মুম্বই পুলিশের এই কীর্তি জানার পর আর ভয় নয়, ভালবাসা এবং শুভেচ্ছায় তাঁদের ভরিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের আখ্যা দেওযা হয়েছে ‘শক্তিশালী অথচ কোমল হৃদয়ের মানুষ।’ প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
[যাত্রীদের স্বস্তি দিতে হাওড়া স্টেশনে বসল বিশালকার পাখা]
শনিবার নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করে এই ঘটনার কথা জানায় মুম্বই পুলিশ। আর তা প্রকাশ্যে আসতেই মুম্বই পুলিশের মানবিক রূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। কেউ লেখেন, ‘অনেক ভালবাসা মুম্বই পুলিশকে।’ কেউ লেখেন,’আমরা মুম্বই পুলিশের জন্য গর্বিত।’ কেউ আবার লেখেন, ‘ফের একবার প্রমাণিত হল মুম্বই পুলিশই সেরা।’
দেখে নিন সেই টুইটগুলি:
The post FIR দায়ের করতে আসা অভিযোগকারীকেই কেক খাওয়াল পুলিশ! appeared first on Sangbad Pratidin.