সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী সৌরভকে কেটে ১৫ টুকরো করে ড্রামে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে স্ত্রী মুসকান রাস্তোগিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই অপরাধে অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্লাও। চলছে তদন্ত। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে জানা যাচ্ছে, মুসকান নাকি জানিয়েছেন, কেন তিনি খুন করেছিলেন তাঁর স্বামীকে।

মীরাট পুলিশের দাবি, তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাবে মুসকান জানিয়েছেন, আসলে সৌরভের সঙ্গে আর থাকতে চাইছিলেন না তিনি। বরং পুরনো বন্ধু সাহিলের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন যে, তাঁকেই বিয়ে করতে চাইছিলেন। কিন্তু সেজন্য দরকার ছিল ডিভোর্স। যা দিতে রাজি ছিলেন না সৌরভ। তিনিই যেন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন দু'জনের মধ্যে। এরপরই তাঁকে চিরতরে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চিন্তাভাবনা শুরু করেন মুসকান।
তবে পুলিশকে মুসকান বলেছেন, ২০২১ সালেই সৌরভের সঙ্গে ডিভোর্সের মামলা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তখনও সাহিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়নি। পরে যত তাঁদের সম্পর্ক গাঢ় হয়েছে ততই সৌরভের সঙ্গে বিচ্ছেদ পাকাপাকি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই নাকি শেষমেশ আর ধৈর্য ধরতে না পেরে স্বামীকে খুন করেন। এমনই দাবি অভিযুক্ত মুসকানের।
জানা গিয়েছে, একই জেলের দুটি আলাদা ওয়ার্ডে রয়েছেন সাহিল ও মুসকান। মাঝে দেড় কিলোমিটারের দূরত্ব। জেলে প্রথম রাতে দু’জনেই নাকি নেশাদ্রব্যের অভাবে ছটফট করছেন। মুসকানের দাবি ইনজেকশন, সাহিল চাইছেন মারিজুয়ানা! দুই অভিযুক্তই ‘উইথড্রয়াল সিনড্রোমে’ ভুগছেন বলে দাবি জেল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের চিকিৎসকের নজরদারি রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার যেন অবনতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। দু’জনের কারও পরিবারের সদস্যরাই জেলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি বলেও জানানো হয়। এদিকে জেলেও সাহিলের সঙ্গে একই কুঠুরিতে থাকতে চেয়ে আবেদন করেন মুসকান। যদিও সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।