সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী যদি পুনর্বিবাহ করেন তবে একজন মুসলিম মহিলারও বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার থাকা উচিত। যদিও তাঁদের সমান ভাবে বিবেচনা করা হয় না, একই রকম স্বাধীন জীবন যাপনের সুযোগও দেওয়া হয় না। অথচ কোরানে (Quran) স্ত্রীর সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের একটি মামলায় (Divorce Case) শনিবার একথা বলল কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)।
সম্প্রতি কেরলের থালাসসারি (Thalassery) অঞ্চলের এক মহিলা কেরল হাই কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবিতে মামলা করেন। বিচ্ছেদের দাবি করে বিচারপতিদের ওই মহিলা জানান, তাঁর স্বামী পুনর্বিবাহ করেছেন এবং বর্তমানে আলাদা সংসারও পেতে ফেলেছেন। যদিও ওই মহিলার পরিবার তাঁকে আদালতে বিচ্ছেদের মামলা করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিল। সেই কথায় কান না দিয়ে অধিকার আদায়ে মামলা করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রক্তাক্ত কেরল! ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুন SDPI ও বিজেপি নেতা, জারি ১৪৪ ধারা]
শনিবার এই মামলার দুই বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক এবং সোফি থমাস (Division Bench of Justice A Muhammad Mushtaq and Justice Sofie Thomas) বলেন, মুসলিম ডিভোর্স অ্যাক্ট সেকশন ২(৮) (এফ)-এ (Muslim Divorce Act Section 2 (8) (F)) বলা আছে, স্বামী যদি স্ত্রীকে অবহেলা করেন ও পুনর্বিবাহ করেন তবে স্ত্রীও বিচ্ছেদের অনুমতি পাবেন। এক্ষেত্রে গত দুই বছর ধরে স্ত্রীর দেখভাল করেননি স্বামী।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে আলাদা সংসার করছেন স্বামী। এরপর ২০১৯ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি করে কেরল হাই কোর্টে মামলা করেন মহিলা। যদিও স্বামীটির দাবি, আলাদা থাকলেও প্রথম স্ত্রীকে সবরকম ভাবে সাহায্য করে আসছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিয়েতে দেদার নাচাগানা, আতশবাজি পোড়াচ্ছেন? ‘নিকাহ’ পড়াবেন না মুসলিম ধর্মগুরুরা]
তবে কেরল হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে আলাদা রয়েছেন স্বামী, এর থেকেই প্রমাণ হয় স্ত্রীকে যোগ্য সম্মান দেননি তিনি। তাছাড়া ২০১৪ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করার কোনও ইচ্ছেও দেখা যায়নি তার মধ্যে। অর্থাৎ নিজের কর্তব্য পালন করেননি স্বামী, যা কোরানের বক্তব্যকে খণ্ডন করারই শামিল। ফলে আদালত প্রথম স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনত অনুমতি দিচ্ছে।