সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, এমন তরুণ যুগলের মধ্যে যৌনতা হলে তাকে পকসো আইনে (POCSO) ‘যৌন হেনস্তা’র আওতায় ফেলা যায় না। এক তরুণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এমনই মন্তব্য মেঘালয় হাই কোর্টের। অভিযুক্ত তরুণকে মুক্তি দিয়েছে আদালত।
গত ২৭ অক্টোবর ওই মামলার শুনানি ছিল। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা তাঁর শিক্ষকের বাড়িতে থাকতেন। এর মধ্যেই নাবালিকা তরুণী হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পরে থানায় যান তাঁর মা। জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর নাবালক প্রেমিকের শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। এরপরই এফআইআর দায়ের করা হয় পকসো আইনে। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত তরুণকে। দশ মাস জেলবন্দিও ছিলেন তিনি। এরপর জামিন পান ওই তরুণ।
[আরও পড়ুন: ‘পড়ুয়া’ সেজে পিঁয়াজ লুঠ উত্তরপ্রদেশে! ব্যবসায়ীদের বোকা বানিয়ে পুলিশের জালে তরুণ]
ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তরুণী স্বীকার করেন ওই তরুণের সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। এবং তাঁরা পারস্পরিক সম্মতিতেই মিলিত হয়েছিলেন। তবে এরপরও তদন্তকারী অফিসার চার্জশিটে অভিযুক্ত করেন ওই তরুণকে। মামলা ওঠে পকসো আদালতের বিশেষ বিচারকের এজলাসে। আদালতে নাবালক ও নাবালিকার মা আরজি জানান মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, যেখানে একজন তরুণ ও তরুণী পরস্পরকে ভালবেসে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন, সেখানে পকসো আইন প্রযোজ্য হতে পারে না।
উল্লেখ্য, শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন (Child sexual exploitation) বেড়েই চলেছে দেশে। গত পাঁচ বছরে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি নাবালক-নাবালিকা! ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস’ তথা NCPCR-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট রীতিমতো ভয় ধরানো। পরিস্থিতি বেশ ভীতিপ্রদ। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা চায় সমস্ত নির্যাতনের ঘটনা যেন নথিভুক্ত হয়। তাহলেই প্রকৃত ছবিটা বুঝে এই নির্যাতন রুখতে পদক্ষেপ করা যাবে। এই পরিস্থিতিতে মেঘালয়ের হাই কোর্ট একটি মামলায় এই রায় দিল।