সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর পর হাতি মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অভয়ারণ্যে। মাত্র ৩ দিনে ১০টি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় মধ্যপ্রদেশে হাতি মৃত্যুর তদন্তে নামল বিশেষজ্ঞদল। প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ার জেরে হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হলেও কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
বনদপ্তরের তরফে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার জঙ্গলে রুটিন টহলদারি চলার সময় দুটি হাতিকে মৃত অবস্থায় দেখা যায়। সন্দেহ হওয়ায় জঙ্গলের আশেপাশে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে আর দুটি হাতির দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ৪টি হাতির মধ্যে ৩টি স্ত্রী ও একটি পুরুষ হাতি। পাশাপাশি অসুস্থ অবস্থায় আর ৫টি হাতিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। অসুস্থ হাতিগুলির চিকিৎসা চালানো হলেও তাদের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। পরে জানা যায়, আরও ৩ হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর পর বুধ ও বৃহস্পতিবার আরও ৩টি হাতির মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০। বনদপ্তরের দাবি অনুযায়ী, এই দলটিতে মোট ১৩টি হাতি ছিল। তবে বাকি ৩ হাতির এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি।
মুখ্য বনসংরক্ষকের দাবি, হাতিগুলির মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর সবটা পরিস্কার হবে। একসঙ্গে এত হাতির মৃত্যু কীভাবে হল তা জানতে দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসেছে। হাতিগুলি যে সব জায়গায় যেতে পারে এবং খাবার খেতে পারে সম্ভাব্য সেই সব জায়গার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এমনকি জঙ্গলের মধ্যে জলকুণ্ডগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে বিষক্রিয়াই মৃত্যুর কারণ। তবে এর পিছনে অন্য কোনও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে ১০টি হাতির মৃত্যু হলেও এই দলে থাকা আরও ৩টি হাতি সুস্থ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে হাতির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও দিল্লি থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল আলাদা ভাবে তদন্ত করছে।