সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ সালের সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden)। জি-২০ সম্মেলন চলাকালীনই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে জি-২০ সম্মেলন শেষ হয়ে গেলেও এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। বুধবার এই কথা জানান ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। সাম্প্রতিক ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের সাধারণতন্ত্র দিবসের অতিথি ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট।
বুধবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সেখানেই তিনি বলেন, আগামী বছরের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তবে কোয়াড গোষ্ঠী বা অন্য কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিনা তা নিয়ে অবশ্য় মুখ খুলতে চাননি মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
[আরও পড়ুন: খলিস্তানিদের হিটলিস্টে কানাডার হিন্দুরা! ‘ঘরছাড়া’ করার হুমকি কুখ্যাত জঙ্গির]
তবে কানাডা ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মন্তব্য করেন গারসেটি। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কানাডা ও ভারত দুই দেশ এই বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করবে বলেই আশা করি।” প্রসঙ্গত, মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে কানাডার অনুরোধ মেনে ভারতের নিন্দা করতে অস্বীকার করেছে আমেরিকা।
জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা প্রসঙ্গে খলিস্তানিদের (Khalistan) দাবিতে সায় দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সেদেশের খলিস্তানিদের অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিয়ে কানাডায় (Canada) নিযুক্ত এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে নির্বাসিত করেছে ট্রুডোর মন্ত্রীসভা। সোমবারই ট্রুডো জানিয়েছিলেন, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। এর পরেই কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সংঘাত চরমে উঠেছে। ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কানাডার এক কূটনীতিককেও।