সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনাতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিশানায় কংগ্রেস। তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী বললেন, "কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে মাথা নত করেছিল।" বন্দে মাতরম প্রসঙ্গে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেও আক্রমণ করেছেন মোদি। তিনি বলেন, "বন্দে মাতরমের বিরোধী ছিলেন জিন্না। তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছিলেন নেহরুও। নেহরু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকেও একটি চিঠি লিখে বলেছিলেন, বন্দে মাতরম মুসলিমদের প্ররোচিত করতে পারে।" মোদির বক্তব্য, নেহরুর এমন বয়ান বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
সংসদে মোদির ভাষণ শেষ হওয়ার পরেই জবাবি ভাষণে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগই বলেন, "সংসদে কিছু বলতে এলেই প্রধানমন্ত্রী মোদি শুধু কংগ্রেস আর নেহরুকে নিশানা করেন। আমি তালিকা ধরে ধরে তা দেখিয়ে দিতে পারি। কিন্তু আপনাকে শুধু এটুকুই বলতে চাই, আপনি যতই চেষ্টা করুন, পণ্ডিত নেহরুজির ভাবমূর্তিতে আপনি কালো দাগ লাগাতে পারবেন না।" গৌরবের সংযোজন, "মুসলিম লিগ চেয়েছিল বন্দে মাতরম বাতিল হয়ে যাক। কিন্তু কংগ্রেস কি মুসলিম লিগের কথায় চলবে? মৌলানা আজাদ সেই সময় বলেছিলেন, বন্দে মাতরমে তাঁর আপত্তি নেই। এটাই ফারাক কংগ্রেস আর মুসলিম লিগের মধ্যে।" নাম না করে আরএসএস-কেও বিঁধেছেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন, "আপনাদের রাজনৈতিক পূর্বসূরিরা কি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন?"
কংগ্রেস বন্দে মাতরমের গুরুত্বপূর্ণ স্তবক বাদ দিয়েছিলেন বলে আগেই দাবি করেছিল বিজেপি। সংসদেও সেই একই কথাই বললেন মোদি। 'বাদ পড়া' অংশ তিনি পাঠ করেও শোনান। বলেন, "কংগ্রেস এখনও বন্দে মাতরমকে অপমান করছে।" একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, প্রথমে বন্দে মাতরমকে ভাঙা হয়েছে। আর তার পরেই ভারত ভেঙেছে। নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও আক্রমণ করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "১৯৭৫ সালে বন্দে মাতরমের ১oo বছর পূর্তিতে সংবিধানকে রুদ্ধ করা হয়েছিল।" মোদি জানান, তাঁদের সরকার বন্দে মাতরমের মাহাত্ম্যকে পুনরুদ্ধার করতে চায়। তাঁর কথায়, "বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে।"
