সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর ঘুরলে বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে 'বঙ্গবন্দনা'। আজ সোমবার ‘বন্দে মাতরম' নিয়ে সংসদে শুরু হয়েছে বিশেষ আলোচনা। আর সেখানে বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোদির বক্তব্যে উঠে এল বাংলা এবং বাঙালির কথা। তাঁর বক্তব্যে একদিকে যেমন বঙ্গভঙ্গের সময় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদানের কথা উঠে এল, একইসঙ্গে জায়গা পেল মাস্টারদা সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম বোস-সহ একাধিক বিপ্লবীর কথাও। তিনি বলেন, ''ইংরেজদের হাতিয়ার ছিল বাংলা। আর এই বাংলা থেকেই প্রথম বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছিল ওরা। কিন্তু ইংরেজদের ইটের জবাব বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পাথরে দিয়েছিলেন।'' তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন যেভাবে মোদির বক্তব্যে বাংলা এবং বাঙালির কথা উঠে এল, তাতে রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন, বঙ্গ নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এহেন 'বঙ্গবন্দনা'?
সোমবার সংসদ অধিবেশনের শুরুতে ‘বন্দে মাতরম’-এর উপর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই গানের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি স্বাধীনতা আন্দোলনে এই গীতের গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যেভাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সেই কথাও তুলে ধরেন। এদিন মোদি বলেন, ''ইংরেজিরা জানত বাংলা ভাগ হলে আন্দোলনও ভেঙে যাবে। আর তাই বাংলাতেই প্রথম বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছিল।'' এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মোদির বক্তব্যে উঠে আসে বঙ্গভঙ্গের কথাও। তিনি বলেন, ''বঙ্গভঙ্গের সময়ে প্রতিদিন বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়ে প্রভাতফেরি বের হতো। বাংলার অলিতে গলিতে এই গান গাওয়া হতো। ঐক্যের শক্তি জুগিয়েছিল এই গান।''
শুধু তাই নয়, এদিন মোদির বক্তব্যে স্বাধীনতা আন্দোলনে মাস্টারদা সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম বোসের অবদানের কথাও উঠে আসে। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বারবার বাংলা-বিরোধী বলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। এমনকী এই ইস্যুতে মোদি-শাহকে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানে দাঁড়িয়ে বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা তুলে 'বাংলা এবং বাঙালি'র আবেগেই শান দিলেন মোদি?
