shono
Advertisement

মাদার টেরিজার সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’, আর্থিক সাহায্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর

মাদারের সংস্থাকে ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য করলেন নবীন পট্টনায়েক।
Posted: 06:24 PM Jan 05, 2022Updated: 06:43 PM Jan 05, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খারাপ সময়ে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির (Missionaries of Charity) পাশে দাঁড়ালেন ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (CM Naveen Patnaik )। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বড়সড় অংকের অর্থ সাহায্য করা হল মাদার টেরিজার (Mother Teresa) সংস্থাকে।

Advertisement

ক’ দিন আগেই কেন্দ্রের নির্দেশে বিদেশি অনুদান পাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়েছে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির। ফ্রিজ করা হয়েছে সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেদিনই মোদি সরকারের এই আচরণের বিরোধিতা করে টুইটারে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের জেরে মাদার টেরিজার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২২ হাজার রোগী এবং কর্মী ওষুধ ও খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই পরিস্থিতি যাতে তাঁর রাজ্যে না হয়, তারই ব্যবস্থা করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটিকে ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে সরকারের তরফে। মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ওড়িশার ১৩টি কেন্দ্রকে এই সাহায্য করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু উন্নয়নে বাধা? বন্ধ মিশনারিজ অব চ্যারিটি, জামিয়া-সহ ১২ হাজার NGO-র অর্থের জোগান]

নোবেল জয়ী মাদার টেরিজার সংস্থাটি ওড়িশায় অনাথ ও কুষ্ঠ রোগীদের সেবায় কাজ করে থাকে। এদিন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী জেলাগুলির প্রশাসনিক আধিকারিকদের চ্যারিটির সবক’টি কেন্দ্রে দ্রুত অর্থ সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, রাজ্যের ৮টি জেলার ১৩টি কেন্দ্রে ৯০০ জন অনাথ ও অসহায়দের দেখভাল করে থাকে মাদার টেরিজার সংস্থা।

[আরও পড়ুন: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ নিয়ে অবশেষে মুখ খুলল মিশনারিজ অফ চ্যারিটি, কী জানাল তারা?]

এদিন নবীন পট্টনায়েকের দপ্তরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটির কেন্দ্রগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। কোনওভাবেই যেন আর্থিক কারণে তাদের কাজ ব্যাহত না হয়। বিশেষত খাদ্য ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজ যাতে অব্যাহত থাকে তার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে। যখনই প্রয়োজন হবে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement