সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধের স্বরূপ পালটে দিয়েছে ড্রোন। চালকবিহীন যানটি প্রতিপক্ষের শিবিরে কতটা তাণ্ডব চালাতে পারে তা ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে স্পষ্ট। তাই এবার ড্রোন বধের কৌশল রপ্ত করতে তৎপর হয়েছে ভারতীয় ফৌজ।
বুধবার দিল্লিতে স্বাবলম্বন-২০২৩ শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করে নৌসেনা। ড্রোন বধে বাহিনীর হাতে কী হাতিয়ার রয়েছে তা দেখানো হয় ভারত মণ্ডপমে। নৌসেনার কমান্ডার এমএন পাশা জানান, এই মুহূর্তে নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক ৩০ মিলিমিটার অ্যামুনিশন বা গোলা। এই গোলা ছুড়লে সেটি থেকে বেরিয়ে আসে স্টিলের প্রায় ৩০০টি বল। ফলে যুদ্ধজাহাজের চারপাশে কার্যত লোহার প্রাচীর তৈরি হয়ে যায়। এর ফলে হামলাকারী ড্রোনের ঝাঁক রণতরীর আশপাশে ঘেষতে পারবে না। ওই লৌহবলয়ে ঢুকলেই তা ধ্বংস হয়ে যাবে। নৌসেনার একে-৬৩০ স্বয়ংক্রিয় কামান থেকে ছোড়া হয় এই গোলা।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর, অরুণাচল ভারতের বাইরে! চিনের দাবিকে মান্যতা দিতে জনমত তৈরি করছিল নিউজক্লিক!]
এদিন, ভারত মণ্ডপমে ড্রোন ধ্বংসে অত্যন্ত পটু ‘দ্রোনম’ অস্ত্র জনতার সামনে তুলে ধরে বায়ুসেনা। ড্রোনের সিগন্যাল সিস্টেম জ্যাম করে দেয় এই হাতিয়ার। এর ফলে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ড্রোনটি ভেঙে পড়ে বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। বিশ্লেষকদের মতে, চালকবিহীন যানটি প্রতিপক্ষের শিবিরে কতটা তাণ্ডব চালাতে পারে তা ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে স্পষ্ট। তাই ভারতীয় ফৌজও তৈরি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরকালে অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত। ফলে ফৌজের হাতে আসছে অত্যাধুনিক মার্কিন ‘প্রিডেটর’ ড্রোন (US Drone)। মূলত, চিন-পাকিস্তান সীমান্তেই নজরদারী চালাবে এই সশস্ত্র ‘শিকারী’। প্রায় ৩০০ কোটি ডলার মূল্যের এই চুক্তি মোতাবেক ভারতীয় নৌসেনার হাতে আসবে এমকিউ৯- সি গার্ডিয়ান ড্রোন। এই ঘাতক হাতিয়ার পাবে সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনা।