সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি জমানায় নামবদল জলখাবারে পরিণত হয়েছে। শহরের নাম থেকে স্টেশন, এমনকী গান্ধী পরিবারের নামাঙ্কিত একাধিক প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠানের নামও বদলে ফেলা হয়েছে। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল নেহরু মিউজিয়ামও। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত মিউজিয়াম থেকে সরিয়ে দেওয়া হল জওহরলাল নেহরুর নাম। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
এর আগে বিজেপি শাসিত বেশ কিছু রাজ্যের স্কুল-কলেজের সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কিত বিষয়। মোদি সরকারকে একহাত নিয়ে কংগ্রেসের দাবি, আরও একবার গান্ধী পরিবারকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন টুইটারে। লেখেন, “সংকীর্ণতা ও প্রতিহিংসার আরেক নাম মোদি।”
[আরও পড়ুন: প্রেক্ষাগৃহে চলছে ‘আদিপুরুষ’, আচমকাই হাজির বানর, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে তুলকালাম কাণ্ড!]
জ্ঞানচর্চায় গোটা দুনিয়ায় জনপ্রিয় নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি (এনএমএমএল)। পুরনো নথি ও বইয়ের ভাণ্ডার এই মিউজিয়াম। অথচ সেই মিউজিয়াম থেকে নেহরুর নাম সরিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন তার পরিচয় প্রাইম মিনিস্টার মিউজিয়াম অ্যান্ড সোসাইটি। যা গান্ধী পরিবারকে অপমান করারই শামিল বলে দাবি জয়রাম রমেশের। ভারত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতার নাম এবং উত্তরাধিকারকে বিকৃত, অপমান করছেন মোদি! তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। চাপে থাকা একজন ক্ষুদ্র মানুষ যিনি স্বঘোষিত বিশ্বগুরু। এভাবেই মোদিকে আক্রমণ করেছেন রমেশ।
উল্লেখ্য, আজ, শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়, নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটির নতুন পরিচয় প্রাইম মিনিস্টার মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি। এর প্রতিবাদে লাইব্রেরির অধিকর্তা এন রঙ্গরাজন পদত্যাগও করেছেন।