সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরোটা এনকাউন্টারের ঘটনার তদন্তে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (National Investigation Agency) বা এনআইএ (NIA)। ঘটনার ১৫ দিন পর কেন্দ্রের তরফে এনআইএ’র উপরই তদন্তভার তুলে দেওয়া হল।
তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এনআইএ’র এক সিনিয়র আধিকারিক এক সংবাদসংস্থাকে একথা জানান। বলেন, একটি নির্দেশিকা জারি করে এনআইএকে তদন্তভার তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে শুধু ওই ঘটনা নয়, ওই এলাকায় গত জানুয়ারিতে ঘটা আরও একটি সন্ত্রাসবাদী হামলার তদন্ত করছে NIA।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে গুলির লড়াই মধ্যপ্রদেশে, খতম হাফ ডজন খুনে অভিযুক্ত ‘সাইকো কিলার’]
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর বান টোল প্লাজায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যায় চার জইশ জঙ্গি। পাকিস্তানের মদতে ২৬/১১-এর ধাঁচে হামলার পরিকল্পনা ছিল ওই জঙ্গিদের। কিন্তু সেনার তৎপরতায় ভেস্তে যায় সেই হামলার ছক। জানা গিয়েছিল, জম্মু–কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সাম্বা (Samba) জেলায় একটি গোপন সুড়ঙ্গের সাহায্যে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল ওই জঙ্গিরা। পরবর্তীতে ওই সুড়ঙ্গের খোঁজও পায় ভারতীয় সেনা। আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর তল্লাশির সময়ই ওই সুড়ঙ্গটি নজরে পড়ে জওয়ানদের। দেখা যায়, সুড়ঙ্গটি ৫ ফুট চওড়া। ভারতীয় সীমানায় অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিটার দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটির সাহায্যে এদেশে ঢুকে স্থানীয় কোনও জঙ্গির সহায়তায় হাইওয়ে পর্যন্ত পৌঁছায় জঙ্গিরা। তারপরই এক ট্রাক নিয়ে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে যদিও বান টোল প্লাজায় সংঘর্ষে চারজনই মারা যায়।
এরপরই ওই এলাকায় তদন্তে গিয়েছিল এনআইএ। প্রত্যক্ষদর্শী এবং জওয়ানদের বক্তব্যও শোনেন আধিকারিকরা। তখন থেকেই এই হামলার সঙ্গে পাক যোগ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এরপর পাক হাইকমিশনারকে সতর্কও করে নয়াদিল্লি। আর এবার গোটা তদন্তের ভারই তুলে দেওয়া হল এনআইএ’র হাতে। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারির নাগরোটাতেই অপর একটি এনকাউন্টারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছিল তিন জইশ জঙ্গি। সেই ঘটনারও তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।