shono
Advertisement

ভারতজুড়ে নাশকতার ছক, খরচ জোগাতে হাওয়ালায় টাকা পাঠিয়েছে দাউদ!

ডি-কোম্পানির হিট লিস্টে ভিআইপিরা।
Posted: 09:43 AM Nov 08, 2022Updated: 02:07 PM Nov 08, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে ‘ডি-কোম্পানি’ (D-Company) হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো ব্যক্তিদের হাওয়ালার (Hawala Channels) মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছিল পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। যদিও ওই অভিযুক্তরা বর্তমানে এনআইএ (NIA) হেফাজতে রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে (Mumbai Special Court) চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানেই একথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

এনআইএ-র চার্জশিটে দাউদ ইব্রাহিম, ছোটা শাকিল ছাড়াও আরও তিন জনের নাম রয়েছে। ডি কোম্পানির ওই তিন সদস্য হল আরিফ আবুবকর শেখ, সাব্বির আবুবকর শেখ, এবং মহম্মদ সেলিম কুরেসি। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ডি-কোম্পানির সদস্য এরা। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক এবং সংগঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধী সিন্ডিকেট চালিয়ে থাকে। ভারতে কাজ করা ডি-কোম্পানির এই তিন ব্যক্তি মুম্বইয়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। গত আগস্টে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: চিন-পাক সীমান্তে যন্ত্রের ‘কান’, মুহূর্তে শত্রুর খবর চলে আসবে সেনার হাতে!]

বিশেষ আদালতে পেশ করা চার্জশিট এনআইএ দাবি করেছে, ওই তিন অভিযুক্তের কাছে হাওয়ালার মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের টাকা পাঠানো হয়েছিল। এই টাকা পাঠানো হয় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য। এমন হামলার পরিকল্পনা হচ্ছিল যাতে গোটা দেশে আতঙ্ক তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি-সহ বিখ্যাত ব্যক্তিদের হত্যার জন্য আলাদা একটি শাখা গড়েছে দাউদের ডি-কোম্পানি। এর জন্য গোলা-বারুদ, অস্ত্রসস্ত্র কেনার কথা ছিল হাওয়ালায় পাঠানো টাকা দিয়ে।

এনআইএ জানিয়েছে, ধৃত আরিফ শেখ ও শাব্বির শেখকে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল। যা দুবাই (Dubai) হয়ে মুম্বইতে এসেছিল। মনে করা হচ্ছিল দাউদ ইব্রাহিমের নির্দেশে ছোটা শাকিলের কাছ থেকে ওই অর্থ পেয়েছিল তিনজন। সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্যই ওই অর্থ পাঠানো হয় বলে দাবি।

[আরও পড়ুন: স্বাবলম্বী! কুনোর অরণ্যে প্রথম শিকার ধরল মোদির ছাড়া নামিবিয়ার চিতারা]

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর ডি-কোম্পানিকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় পাকিস্তানকে। মনে করা হয়, পাকিস্তানেই রয়েছে মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম প্রধান চক্রী। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে পাক তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ প্রধান মহসিন বাটকে। কেবল দাউদ নয়, ২৬/১১ মুম্বই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হাফিজ সঈদকে নিয়ে প্রশ্নও একই ভাবে এড়িয়ে যান তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement