shono
Advertisement

সত্যি হল আশঙ্কা, নিপা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে কেরলের যুবকের শরীরে

২০১৮ সালে কেরলে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জনের।
Posted: 03:36 PM Jun 04, 2019Updated: 03:47 PM Jun 04, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কাই সত্যি হল শেষপর্যন্ত। সোমবার কোচির এরনাকুলামের এক যুবকের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁর রক্তে নিপা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। তবে এই নিয়ে রাজ্যের মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ বিজেপির, জানাল সমীক্ষা ]

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কালামাসারি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২৩ বছরের এক যুবকের চিকিৎসা চলছিল। তাঁর রক্তে নিপা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। বাকি ৮৬ জনের মধ্যে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের গলায় ব্যথা থাকার পাশাপাশি জ্বরও এসেছে। তবে এর জন্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিবেষা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

মঙ্গলবার কেরল স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়, ওই যুবকের রক্ত পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে থেকে আসা রিপোর্টে নিপা ভাইরাস থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই যুবকের সঙ্গে সম্প্রতি দেখা হয়েছে এই রকম ৮৬ জনের রক্তের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পুনের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে তার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। এদিকে নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও চারজন। তাঁদের মধ্যে দুজন নার্সও রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন ওই যুবকের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন- মায়ের সামনে কিশোরীকে ধর্ষণ, প্রতিবাদ করায় প্রৌঢ়াকে খুন করল ব্যক্তি]

বিষয়টি নিয়ে যে কেন্দ্রও চিন্তিত তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধনের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কোচিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল পাঠানো হয়েছে। একটি কন্ট্রোল রুম খুলে পুরো পরিস্থিতির দিকে নজরও রাখা হচ্ছে।

গত বছর কেরলে নিপায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৮ জন। এর মধ্যে ১৭ জনই মারা যান। এই ঘটনার পরেই রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছিল হাই অ্যালার্ট। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর হয়। তারপর শুরু হয় মাথাব্যথা ও ক্লান্তি। শ্বাসজনিত সমস্যাও দেখা দেয়। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে রোগী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোমায় চলে যেতে পারে। গত বছর প্রচুর পরীক্ষার পর জানা যায় যে নিপার প্রধান বাহক বাদুড়। বাদুড়ে খাওয়া কোনও ফল খেলে মানুষের শরীরে নিপা ভাইরাস প্রবেশ করার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই বাদুড়ে খাওয়া ফল খেতে নিষেধ করা হয়েছিল রাজ্যবাসীকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement