সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বর হয়েছিল তো, যাব কী করে? ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance) বৈঠক বাতিল হতেই সাফাই দিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। উল্লেখ্য, দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হওয়ার আগেই ধাক্কা খেয়েছে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। বেশ কয়েকজন নেতা যোগ দেবেন না, এই খবর হাওয়ায় ভাসতে শুরু করার পরেই বুধবারের ইন্ডিয়া বৈঠক তড়িঘড়ি বাতিল করা হয়। তার পরেই সাংবাদিকদের সাফাই দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বৈঠকের পরিবর্তে নৈশভোজে যোগ দিতে পারেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর বুধবার অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তিন রাজ্যের নির্বাচনে ডাহা ফেলের জন্য কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’কে দুষেছে তৃণমূল। মুখে কুলুপ আঁটলেও জোটের প্রস্তাব ফিরিয়ে কংগ্রেসের একা সর্বত্র লড়াই করার মনোভাবকেই দায়ী করছে অন্যান্য বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে জোটের মধ্যে সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তার পরেই শোনা যায়, জেডি(ইউ)-র নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব বৈঠকে আসবেন না। যদিও আগে থেকেই উত্তরবঙ্গ সফর থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বৈঠকে যোগ দেবেন না সেরকমটাই আন্দাজ করা গিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে খুনের পর আত্মঘাতী চিকিৎসক! চাঞ্চল্য যোগীরাজ্যে]
বিতর্ক দানা বাঁধে নীতীশ ও অখিলেশের অনুপস্থিতি নিয়ে। তবে বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই মুখ খোলেন নীতীশ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেডিইউ নেতা বলেন, “খবরে বলছে আমি নাকি বৈঠকে যোগ দেব না। সেটা কি হতে পারে? আমার জ্বর হয়েছে বলেই ওদের না বলতে হল। আগামী বৈঠকে আমি অবশ্যই যাব। কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।” তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, কংগ্রেসের ‘ছড়ি ঘোরানো’ মনোভাব নিয়ে অসন্তুষ্ট ইন্ডিয়া শরিকরা। তাই এই বৈঠক নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না আঞ্চলিক দলগুলো।
অন্যদিকে, দিনক্ষণ স্থির হলেও, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের কথা তাঁকে জানানো হয়নি বলেই দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষোভপ্রকাশের পরই মমতাকে ফোন করেন রাহুল গান্ধী। বুধবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সেকথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “পরশুদিন রাহুল গান্ধী আমায় ফোন করে বৈঠকের কথা বলেছে। আমি তাকে জানাই কেউ আমাকে জানায়নি। আমার পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি ছিল। মুখ্যমন্ত্রীরা কোনও কোনও সময় ব্যস্ত থাকেন, যদি তাঁরা সাত থেকে দশদিন আগে কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে না পারেন তাহলে সমস্যা হয়।”