সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: একযোগে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলে ভেঙে পড়তে পারে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা। তাই সুপ্রিম রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আজ, বৃহস্পতিবার সেই রিভিউ পিটিশনের শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপরি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে।
সুপ্রিম কোর্টের কলমের খোঁচায় একসঙ্গে বাতিল হয়েছে এসএসসির ২৫,৭৫২ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি। এই রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ পর্ষদ। সেখানে রাজ্যের অন্তত ১৭টি স্কুলের বেহাল দশার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যদিও এদিন মামলাটি রয়েছে ৩৫ নম্বরে। আবার দুপুর দু’টো থেকে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে চলবে ওয়াকফ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। ফলে সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর একটা- এই আড়াই ঘণ্টার মধ্যে এই শুনানির সুযোগ আসে কিনা, এলেও কতক্ষণ সময় হাতে পাওয়া যায়, এই ধরনের প্রশ্নও থেকেই যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের অন্তত ১৭টি স্কুলের বেহাল অবস্থার উদাহরণ তুলে ধরেছে পর্ষদ। সুপ্রিম নির্দেশে কোনও স্কুলের ৮ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়ে বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১। কোথাও ২৭ জনের মধ্যে চাকরি খুইয়েছেন ২৫ জন। কোথাও ছ’ জনের মধ্যে আছেন মাত্র তিনজন। কোনও স্কুলে আবার ঘণ্টা বাজানোর কর্মী না থাকায় সেই কাজ করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীর সংকটে ভুগছে বিভিন্ন স্কুল। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখা থেকে শুরু করে নতুন শিক্ষাবর্ষের পঠন পাঠনে দেখা দিয়েছে প্রচুর সমস্যা। এই ধরনের নানা ঘটনার উল্লেখ রয়েছে আবেদনে। এই পরিস্থিতিতে কী নির্দেশ বা পর্যবেক্ষণ দেয় সর্বোচ্চ আদালত, সেদিকেই থাকছে নজর।
